নগরীর চালিবন্দরে প্রতিমা ভাংচুর ॥ যুবক আটক

DSC_8950-copy-520x350-1ডেস্ক রিপোর্টঃ সিলেটের সকাল রিপোর্ট: সিলেট নগরীর চালিবন্দরস্থ শ্রী শ্রী ভৈরবতলা মন্দিরের প্রতিমার দুই হাত ভেঙ্গে ফেলার অভিযোগে বুধবার রাতে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় জনতার হাতে আটক খলিল আহমদ (৩০) নগরীর ছড়ারপার এলাকার মৃত আব্দুল মান্নান ওরফে নন্দী মিয়ার পুত্র। সে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ১৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম মুনিমের ভাড়াটিয়া।
সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, খলিল আহমদসহ কয়েকজন বুধবার রাত ৮ টার দিকে চালিবন্দর ভৈরবতলা মন্দিরের পাশে যান। খলিল মন্দিরের ভেতরে শাবল হাতে প্রবেশ করে। মন্দিরে প্রবেশের পর প্রথমে মন্দিরের লাইট ও সিমেন্টের তৈরী প্রতিমা ভাংচুর করে। শাবলের আঘাতে মূর্তির দু’হাত ভেঙ্গে যায়, গলা ও কাঁধে ফাটলের সৃষ্টি হয়।
মন্দিরের পুরোহিত সুশান্ত চক্রবর্তী জানান, ভাংচুরের বিকট শব্দ শুনে তিনি বাইরে বের হন। এ সময় তিনি মন্দিরের আলো নিভানো অবস্থায় দেখতে পান। এসময় মন্দির থেকে খলিলকে বের হতে দেখে তিনিসহ স্থানীয়রা তাদেরকে ধাওয়া করে। ধাওয়া খেয়ে খলিল ও তার সহযোগীরা ছড়ারপারের দিকে চলে যায়। মূর্তি ভাংচুরের খবর পেয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম মুনিম ঘটনাস্থলে যান। পরে তিনি ও এলাকাবাসী খলিল আহমদকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। খবর পেয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানসহ হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলে যান।
কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহেল আহমদ জানান, মূর্তি ভাংচুরের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে একজনকে আটক করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকীদের গ্রেফতার করা হবে। মন্দির এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ভাংচুরকারী খলিলের ভাই কবির আহমদ জানান, খলিল দীর্ঘদিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছে। তবে কোন ডাক্তারী চিকিৎসা করাননি। তার কবিরাজি চিকিৎসা চলছে বলে জানান কবির।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত গত রবিবার সকালে মন্দিরের শ্রী শ্রী ভৈরবতলা মন্দিরস, সার্বজনীন পূজা মন্ডপ ও ৫ তলা বিশিষ্ট নাট মন্দিরের ভিত্তি প্রস্তুর স্থাপন করেন।