নাহিদের নির্দেশে সাইফুর’স এর দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক
ডেস্ক রিপোর্ট :: ইংরেজি ভাষা শিক্ষার কোচিং সেন্টার সাইফুর’স এর অনিয়ম ও দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আসা অভিযোগ যাচাই শেষে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। এজন্য শিগগিরই একজন অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে।
সোমবার দুদক সূত্র জানায়, চলতি মাসের শুরুর দিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে দুদকে সাইফুর’স এর বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের জন্য লিখিতভাবে সুপারিশ আসে। সেখানে কোচিং সেন্টারটির অনিয়ম-দুর্নীতির অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করা হয়। প্রাথমিকভাবে যাচাই করে অভিযোগটি যথাযথ বলে মনে হওয়ায় সাইফুর’স এর দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। অল্প কয়েকদিনের মধ্যে দুদকের একজন কর্মকর্তাকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেয়া হবে।
এ অভিযোগ অনুসন্ধানে সাইফুর’স এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সাইফুর রহমান খানকে দুদকের মুখোমুখি হতে হবে। সেই সঙ্গে কোচিং সেন্টারটির আয়-ব্যয়ের সব হিসাব পেশ ও সব আয়কর নথিও খতিয়ে দেখবে দুদক। এছাড়া ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে সাইফুর’স কোনো ধরনের প্রতারণা বা জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ মার্চ ‘দক্ষ হ্যাকার তৈরির’ আপত্তিকর বিজ্ঞাপন দেয়ায় সাইফুর’স কোচিং সেন্টারের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থাসহ মামলা করার নির্দেশ দেন শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ। অভিযোগ উঠেছিল, এ বিজ্ঞাপনে হ্যাকিংকে উৎসাহিত এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরিতে সম্পৃক্ত হ্যাকারদের পক্ষাবলম্বন করা হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি প্রতিষ্ঠানটির ক্ষেত্রে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে দুদক ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকে চিঠি দিতে শিক্ষা সচিবকে নির্দেশ দেন।
দক্ষ হ্যাকার তৈরির বিষয়ে সাইফুর’স কোচিংয়ের বিজ্ঞাপন সম্পর্কে এ সংক্রান্ত নথিতে শিক্ষা সচিব মো. সোহরাব হোসাইনের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী লিখিত নির্দেশে বলেন, ‘এ বিষয়টি মারাত্মক। এ বিষয়ে সিরিয়াসলি ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নথিতে সিদ্ধান্ত নিয়ে অগ্রসর হওয়া প্রয়োজন।’
এ নথিতে শিক্ষামন্ত্রী গত ২৩ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত যৌথ সভায় বিষয়টি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে জানিয়ে কোচিং সেন্টারটির বিরুদ্ধে চার ধরনের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সচিবকে নির্দেশ দেন। এ চারটি পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে- থানায় সাইফুর’স কোচিংয়ের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা, মামলা দায়ের, দুদকে চিঠি দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো এবং অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা।