অর্থমন্ত্রীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় দুই মামলা

Chhatroleage_Sylhetডেস্ক রিপোর্টঃ শনিবার বিকেলে সিলেট নগরীর রিকাবীজারে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুটি মামলাই করেছে পুলিশ।

ঘটনার দিন রাতেই আটককৃত ৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১৫ জনকে আসামী করে কোতোয়ালী থানায় এএসআই (নিঃ) হোসাইন আহমদ বাদী হয়ে প্রথম অস্ত্র মামলাটি দায়ের করেন এবং অপর (সিলেট-থ-১২-৩৭৭৩) নং সিএনজি অটোরিক্সাসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনকে আসামী করে একই থানার এসআই (নিঃ) বিষ্ণু রায় বাদী হয়ে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। নং-১৯ ও ২০।

এদিকে, রবিবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালী থানার এসআই আব্দুল ওয়াদুদ আটককৃত ৪ আসামীকে সিলেট চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুজ্জামান হিরোর আদালতে হাজির করে তাদের বিরুদ্ধে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানান। এ সময় আদালত মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) তাদের রিমান্ড শুনানীর তারিখ ধার্য করে আটককৃতদের জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

জেলে প্রেরণকৃতরা হচ্ছে- এয়ারপোর্ট থানার ডলিয়া গ্রামের হিমাংশু রঞ্জন দাসের হিমেল দাস (১৯), নগরীর লামাবাজার নয়াপাড়ার বিথিকা বি/১৭ নং বাসার স্বপন তরফদারের পুত্র সৌরভ তরফদার (২০), নগরীর মেজরটিলা সৈয়দপুর বি/৩৯ নং বাসার শেবুল রহমানের পুত্র রাফি চৌধুরী ওরফে মতিউর রহমান চৌধুরী (১৯) ও নগরী তোপখানা আব্দুর কাদেরের পুত্র মোহাম্মদ আলী রিয়াদ (২৪)।

গত শনিবার বিকেল ৫ টার দিকে অর্থমন্ত্রীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে তিনি চলে যাওয়ার পরক্ষণেই আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রলীগের কাশ্মীর গ্রুপ ও দর্শনদেউড়ি গ্রুপ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় রিকাবীবাজার সড়কে নামে। এ সময় কর্মীরা ইটপাটকেল ছুড়ে মারেন। তখন বৃষ্টি হচ্ছিল। বৃষ্টিতে ভিজে কর্মীরা একে অন্যকে ধরে কিলঘুষি, রড দিয়ে পেটাতে থাকেন। এক পর্যায়ে খবর পেয়ে রামদা হাতে বৃষ্টিতে ভিজে উভয় গ্রুপের আরও কর্মীরা এগিয়ে এলে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পথচারী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তারা আতঙ্কে দৌড়াদৌড়ি করেন ও দোকানপাট বন্ধ করে দেন। অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার পর ছাত্রলীগ কর্মীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। তবে, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৪ জনকে আটক করেছে। এ সময় কয়েকজন আহত হন।

অনুষ্ঠানস্থলের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি সিএনজি অটোরিকশায় (সিলেট-থ-১২-৩৭৭৩) একটি বস্তা দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। পরে তল্লাশী করে ওই বস্তায় ৫টি রামদা ও ১১টি লোহার পাইপ, ১৮টি রড ও ৪টি লাইলনের বস্তা পাওয়া গেছে। তবে আটোরিকশার চালক ও সংশ্লিষ্ট কাউকে এ সময় পাওয়া যায়নি। পরে পুলিশ অটোরিকশাটি জব্দ করে।