মা আমি ইলিয়াস হবো.. এমজেএইচ জামিল
ইলিয়াস আলী গুমের ৪ বছরে মুক্ত কলাম
ছোট বেলা থেকে প্রতিটা শিশুরই ভবিষ্যত স্বপ্ন দেখা শুরু হয়। কেউ ডাক্তার, কেউ বিসিএস ক্যাডার, কেউ ইঞ্জিনিয়ার, কেউ শিক্ষক কিংবা অনেকেরই অনেক স্বপ্ন থাকে। তার থেকে ব্যাতিক্রম নয় একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের স্ট্যান্ডার্ড-৪ এর ক্ষুদে শিক্ষার্থী ইভা। সেও ছোট বেলা থেকেই ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করার প্রয়াসে বড় হতে চলেছে। তার বাবা-মার প্রেরনায় সে মানুষের মত মানুষ হবে সেই প্রত্যয়ে লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তার স্বপ্নে বাধ সাধলেন গুম হওয়া রাজনীতিবিদ এম. ইলিয়াস আলী। ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল রাজধানী ঢাকা থেকে গুম হন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক জনপ্রিয় এমপি এম. ইলিয়াস আলী। সিলেট জেলার বিশ্বনাথ উপজেলার এক অজপাড়া গায়ে জন্ম নেয়া ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম অগ্রসেনানী ইলিয়াস আলী গুমের খবর সারাদেশে ছড়িয়ে পড়লে। দেশজুড়ে শুরু হয় বিক্ষোভ। পালিত হয় হরতাল সহ কঠোর কর্মসুচী। তাঁর জন্ম স্থান বিশ্বনাথে আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হন ২ বিএনপি কর্মী। ইলিয়াস আলীকে ফিরিয়ে দিতে বিবৃতি দেয় জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সহ বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধানগণ। টিভি পত্রিকার পাতার শিরোনাম ছিল তখন শুধু ইলিয়াস আর ইলিয়াস । এই দৃশ্য মনে দাগ কাটল ছোট্র শিক্ষার্থী ইভা’র। সে তার বাবাকে জিজ্ঞেস করলো বাবা ইলিয়াস আলী কে। উনাকে নিয়ে প্রতিদিন টিভি আর পত্রিকায় এত সংবাদ কেন? তার সচেতন বাবা সোজা উত্তর দিলেন ইলিয়াস আলী ছিলেন একজন রাজনীতিবিদ আর তিনি গুম হয়েছেন। তাঁেক ফিরিয়ে দেওয়ার দাবীতে দেশে আন্দোলন হচ্ছে। এজন্য টিভি আর পত্রিকায় তার নাম ফলাও করে প্রচারিত হচ্ছে। মেয়েটি তখন তার বাবাকে বলে দিল-বাবা আমিও ইলিয়াস হবো? তারা বাবাতো আশ্চার্য হয়ে গেলেন মেয়ের কথা শুনে। তখন তিনি মেয়েকে বললেন-মা তুমি না বড় হয়ে ডাক্তার হতে চাও, তো ইলিয়াস হবে কেন? মেয়েটি বলে দিল- বাবা যে ইলিয়াস আলীর জন্য দেশে হরতাল হয়, আন্দোলন করতে গিয়ে মানুষ জীবন দেয়। যার জন্য সারা বিশ্ব থেকে বিবৃতি আসে তার চেয়ে বড় কি ডাক্তার হতে পারে। যেভাবে ইতিহাস পাল্টে দেয় তার নিজের গতিপথ। ঠিক সেভাবেই বদলে যায় অনেকের জীবনের লক্ষ্য। ছোট বেলা পড়েছিলাম- মানুষ অনন্তকাল বেঁেচ থাকে তাঁর কর্মে নামে নয়।
এম. ইলিয়াস আলীর সাথে আমার ব্যাক্তিগত সম্পর্ক এতটা ছিলনা, কারন আমি তো আর এতবড় কেউ নয়। একবার দৈনিক আমার দেশ পত্রিকা ও দৈনিক আলোকিত সিলেট পত্রিকায় একটা শুভেচ্ছা বিজ্ঞাপনের বিল আনতে গিয়ে উনার সাথে কিছু সময় একান্তে কথা বলার সুযোগ হয়েছিল। আবার দেখা হয়েছিল দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ঢাকাস্থ হেড অফিসে। মাহমুদুর রহমান স্যার তখন ১ম বার জেল থেকে বের হবার পর। মাহমুদুর রহমান ভাই ইলিয়াস ভাইয়ের সাথে আমাকে পরিচয় করে দিতে চেয়েছিলেন। ইলিয়াস ভাই তো সাথে সাথে বলেন দিলেন আপনার জামিলকে পরিচয় করে দিতে হবেনা। আমাদের বৃহত্তর সিলেটে আমার দেশ পাঠকমেলা আর মাহমুদুর রহমান মুক্তি আন্দোলন জুড়ে তো শুধু জামিল আর জামিল। সেই দিন থেকে ইলিয়াস ভাইয়ের সাথে ঘনিষ্ট হয়ে যাই। তারপর দৈনিক আলোকিত সিলেট পত্রিকায় কাজ করার সময় আমি বিএনপি বিট করতাম তাই প্রায় সময় উনার সাথে যোগাযোগ করতে হত। এভাবেই আমি উনার সাথে মোটামুটি পরিচিত হয়ে গিয়েছিলাম। এরপর থেকে উনি সকল জাতীয় দিবসে আমার মোবাইলে শুভেচ্ছা এসএমএস দিতেন। সর্বশেষ উনি গুম হওয়ার ঠিক ২দিন আগে ১৫এই এপ্রিল নগরীর শিবগঞ্জে একটি প্রাইভেট কোম্পানীর হলরুমে অনলাইন পত্রিকা ডেইলী সময়ের ডাক ডট কম-এর উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে দেখা হয়েছিল। ইলিয়াস ভাই সেই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আর আমি ছিলাম সেই অনুষ্ঠানের পরিচালনার দায়িত্বে। সেদিন রাত ৮টা থেকে শিবগঞ্জ এলাকায় বিদ্যুৎ ছিলনা। প্রায় একঘন্টা অপেক্ষা করার পর রাত ৯টার দিকে ইলিয়াস ভাই যেন কাকে ফোন দিয়ে মাসুক নামের বিদ্যুৎ বিভাগের এক কর্মকর্তার মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করেই সাথে সাথে ফোন দিলেন। উনি কল করেই বললেন- মাসুক সাহেব আমি ইলিয়াস আলী কনরাম বা। শিবগঞ্জ এলাকাত একঘন্টা থাকি কারেন্ট নাই বা। পারলে আমরারে একটু কারেন্ট দেউ বা। একটা প্রোগ্রাম চলের। কল করার ঠিক ১০ মিনিটের মাথায় বিদ্যুৎ চলে আসলো। সেইদিন সবাই অবাক দৃষ্টিতে হা করে তাকিয়ে উপভোগ করলেন একজন সার্বজনীন ইলিয়াস কে। এই কালজয়ী নেতার সাথে এটাই ছিল আমার শেষ সাক্ষাৎ। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, গুম হওয়ার পুর্বে এটাই ছিল ইলিয়াস ভাইয়ের শেষ প্রোগ্রাম। পরদিন ১৬ এপ্রিল উনি একটি মামলায় সিলেট জজ কোর্টে হাজিরা দিয়েই সেদিনই ঢাকা চলে যান। এর পর দিন ১৭ এপ্রিল রাতে রাজধানী ঢাকা থেকে গুম হন জননেতা ইলিয়াস আলী। জানিনা ইলিয়াস ভাই কোথায় আছেন। তবে যেখানে থাকেন, ভাল থাকেন, সুস্থ থাকেন। এই শুভ কামনাই রইল। ইতিহাস সৃষ্টি করে জনতার ইলিয়াস জনতার মাঝে ফিরে আসবেন এটাই নিখোজঁ হওয়ার ৪ বছর পুর্তিতে আমাদের প্রত্যাশা।
গুম হওয়ার ৪ বছর পুর্তিতে ইলিয়াস আলীকে নিয়ে কিছু লিখব সেই আকাঙ্খা থেকেই উনার ইতিহাস জানার একটু চেষ্টা করেছিলাম। তারপর একটি বইয়ে খুজে পেলাম ইলিয়াস আলীর শৈশব, কৈশোর আর যৌবনের অনেক অজানা ইতিহাস। পাঠক মনের ধৈর্য্যচ্যুতি যাতে না ঘটে সেদিকে খেয়াল রেখেই উনার জীবনের গুরুত্বপুর্ন কিছু ইতিহাস তুলে ধরার চেষ্টা করছি। আশির দশকের তুখোড় ছাত্রনেতা, বিএনপির দুর্দিনের কান্ডারী ও ওয়ান ইলেভেনের পরীক্ষিত নেতা এম. ইলিয়াস আলী ছিলেন স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব-গণতন্ত্র রক্ষার এক অতন্দ্র প্রহরী। ৮১ পরবর্তী বিএনপির দুঃসময়েও তরুন ছাত্রদল নেতা জিয়া আদর্শের আপোষহীন সৈনিক হিসেবে মাঠে সক্রিয় থেকেছেন ইলিয়াস আলী। ৮১ পরবর্তী স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে রাজপথে মিছিলের সাহসী মুখ ইলিয়াস আলীর পথ চলা ছিল সব সময় ¯্রােতের প্রতিকুলে। শহীদ জিয়ার সংগঠন বিএনপির দুর্দিনে দুঃসময়ে জীবন বাজী রেখে আদর্শেে পতাকা হাতে নিয়ে দুর্গম গিরিপথ পাড়ি দিয়েছেন তৃনমুল কর্মীদের প্রিয় মুখ ইলিয়াস। আপোষহীনতা গনতন্ত্র আর জাতীয় স্বার্থের ব্যাপারে ইলিয়াস ছিলেন সব সময় রাজপথে স্বোচ্ছার। তার প্রমান পাওয়া যায় স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে টিপাইমুখ বাধ বিরোধী আন্দোলনে। সিলেট জেলার বিশ্বনাথ উপজেলার পাড়া গাঁ রামধানায় দুরন্তপনা করতে করতেই বেড়ে উঠেছেন তিনি। ধুলো-মাটি মেখে সারাদিন পড়ালে আর খেলাধুলা নিয়ে ব্যাস্ত থাকতেন কিশোর ইলিয়াস। স্কুলের আঙিনায় পা মাড়ানোর আগ থেকেই ইলিয়াস নিজ বাড়ী পাড়া গাঁয়ের সহপাঠিদের বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করতেন। নিজের জামা কাপড় বই-খাতা দিয়ে দিতেন অন্যদের। এজন্য তাকে প্রায়ই মায়ের বকুনিও খেতে হতো। ছোটবেলা থেকে তাঁর প্রিয় খেলা ছিল ফুটবল। তিনি ফুটবল খেলায় বেশ দক্ষও ছিলেন। তাকে প্রায় সময় বিভিন্ন এলাকার পক্ষ নিয়ে খেলতে হতো। মেধাবী ছাত্র, ভাল ফুটবলার এবং সজ্জন ব্যাক্তি হিসেবে ইলিয়াস আলী শৈশব কালেই সবার নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছিলেন।
তিনি বিশ্বনাথ রামসুন্দর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং সিলেট এমসি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে ভর্তি হন দেশের সর্বোচ্ছ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ঢাবি থেকেই তিনি তার শিক্ষাজীবন শেষ করেন। আর সেখান থেকেই ছাত্ররাজনীতি শুরু করে জাতীয় রাজনীতিতে তাঁকে প্রতিষ্ঠিত করেন। বাংলার রাজনৈতিক গগনে তাঁর উত্থান যেমন ছিল আকর্ষনীয়, তেমনী তার অকাল অস্তগমনের ইতিহাস বেদনাদায়ক। তাঁর গুম হওয়া, ৪ বছর পরও সন্ধান না মেলা, স্বৈরচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের এমন দুর্বার রাজনৈতিক নেতার এমন করুন কাহিনী জাতীয় রাজনীতিতে আতংকের জন্ম দিয়েছে। জাতীয় পর্যায়ের রাজনীতিতে স্বমহিমায় উজ্জল ইলিয়াস আলীর এমন পরিনতি মেনে নিতে পারছেন না তার রাজনৈতিক দল ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মানুষও। গুম হওয়ার প্রাক্কালে জাতীয় ইস্যুতে সিলেটের সকল আন্দোলনের মুর্ত প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন তিনি। শাহজালাল (র.) পুন্যভুমি সিলেট দেশের আধ্যাত্মিক রাজধানী। অনেক রাজনীতিবিদ, আউল, বাউল, সুফি, সাধক, কবি, সাহিত্যিক ও সমাজসেবীদের সতীর্থের স্থান প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর, নৈস্বর্গীক লীলাভুমির এক অপুর্ব নিদর্শন এই সিলেট। যুগে যুগে এ অব্জল দেশবাসী ও বিশ্বমানবকে দিয়েছে ভক্তির আদর্শ, তেজো বীর্যের উৎকর্ষ। শুধু এদেশ নয়, দেশের সীমানা ছাড়িয়েও রয়েছে সিলেটের অুুলনীয় উপমার উজ্জল দৃষ্ঠান্ত। সেই সিলেটের কর্মপ্রান, বাংলাদেশের রাজনীতির দিকপাল, রাজপথ কাাঁপানো জাতীয় বীর, সংগ্রামী জননেতা এম. ইলিয়াস আলী সিলেট জেলার সেই অমর প্রবাহের একটি দ্যুতিময় তরঙ্গ। কিংবদন্তী ঈর্ষন্বীয় এই জননেতা গুম হওয়ার পুর্ব পর্যন্ত ছিলেন সিলেটের রাজনীতির সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যাক্তি এবং জনপ্রিয় ব্যাক্তিত্ব। তাঁর রাজনৈতিক, সামাজিক ও ব্যাক্তিগত জীবনের প্রতি আলোকপাত করলে দেখা যায় তিনি ছিলেন স্বমহিমায় ভাস্বর একজন মহানায়ক। তিনি বৃহত্তর সিলেটবাসীর জন্য আবির্ভুত হয়েছিলেন একজন অভিভাবক হিসেবে। অবহেলিত বঞ্চিত জনপদের মানুষের জন্য তিনি ছিলেন বট বৃক্ষের ন্যায়। ইলিয়াস আলী আর কোন সভা, সমাবেশে সিংহ পুরুষের ন্যায় গর্জে উঠবেন না? তা কখনো হতে পারে না। তা কখনো মেনে নেয়ার নয়? বিশাল মানসিকতার অধিকারী ইলিয়াস আলী শুধু একজন রাজনীতিবিদ নয় , বাংলাদেশের রাজনীতিতে অমর হয়ে থাকা এক কিংবদন্তীর ইতিহাস। এম ইলিয়াস আলী- কোথায় কেমন আছো জানিনা? তবে যেথায় থাকো, ভাল থাকো সেই শুভ কামনা কোটি জনতার।
রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দিতা কিংবা প্রতিযোগিতা থাকতে পারে কিন্তু প্রতিহিংসা অবশ্য শুভনীয় নয়। ২০১২ সালের ১৭ই এপ্রিল থেকে ২০১৬ সালের ১৭ এপ্রিল। চলে গেল ইলিয়াস গুমের ৪ বছর। ফিরে এলেন না ইলিয়াস । ইলিয়াস আলী গুম হবার পর জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য সহ বিভিন্ন দেশ এই ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তারঁ সন্ধানের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। খোদ বর্তমান সরকারের মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানও একটি অনুষ্ঠানে বলেছেন গুম হওয়া ব্যাক্তিদের দায় সরকার এড়াতে পারবেনা। ইলিয়াস আলী গুমের ৪ বছর পুর্তি উপলক্ষে তাঁর দল বিএনপি সিলেট জেলা শাখা ১০ এপ্রিল থেকে মাসব্যাপী কর্মসুচী ঘোষনা করেছে। ইতোমধ্যে সিলেট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে তারা প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপিও দিয়েছেন। আমরা এদেশের নাগরিক গুম কারো জন্য কোনভাবেই কাম্য হতে পারে না। শুধু ইলিয়াস আলী নয় গুম হওয়া সকল নাগরিককে ফিরিয়ে দিতে সরকারকেই কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। গুম নামক আতংকে আর কোন মায়ের বুক যেন খালি না হয়। এটাই প্রত্যাশা অভিভাবক মহলের। জনতার ইলিয়াস সুস্থভাবে জনতার মাঝে ফিরে আসবেন গুম হওয়ার ৪ বছর পুর্তিতে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
পরিশেষে সিলেটী কবি মুহিত চৌধুরীর কবিতার ভাষায় বলি-
যদি কখনো ছিড়ে যাওয়া তসবির মতো
স্বপ্ন গুলো ঝরে পড়ে,
অজানা ভাইরাসে যদি
হার্ড ডিস্ক কেপেঁ ওঠে,
তুমি ভীত সন্ত্রস্থ হয়োনা
তোমার নামে সেইভ করা ফাইল
কখনো ডিলিট হবেনা।
বিকজ ভালবাসা এক অবিনশ্বর সফটওয়ার।
কবির ভাষার সাথে একাত্মতা পোষন করে বলতে চাই জননেতা এম. ইলিয়াস আলীকে সিলেটবাসর হৃদয় থেকে কখনো ডিলিট করা যাবেনা। কারন ভালবাসার অবিনশ্বর সফটওয়ারে সেইভ হয়ে আছে জনতার ইলিয়াস। ফিরে আসুন জনতার মঞ্চে এই শুভ কামনা ছাড়া আমাদের যে আর কিছু করার নাই।
লেখক : এমজেএইচ জামিল
তারিখ: ১৬-০৪-১৬ ইং বিএসএস(অনার্স), এমএসএস(মাষ্টার্স) রাষ্ট্রবিজ্ঞান
সাংবাদিক, সংগঠক ও সমাজকর্মী
ই-মেইল: [email protected]