সিলেটে গৃহবধু অপহরন : বিয়ে দাবি জয়নালের, ছবি স্বীকার তানিয়ার
ডেস্ক রিপোর্টঃ আবাসিক হোটেলে গিয়ে অন্য কিছু করার কথা না জানালেও অপহরক জয়নালেন সাথে ছবি তোলার কথা স্বীকার করেছে অপহৃত গৃহবধু তানিয়া। অপরদিকে তানিয়াকে তার স্ত্রী বলে দাবি করেছে অপহরক জয়নাল। সোমবার (৪এপ্রিল) সিলেটের অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্টেট্র তহুরার আদালতে ২২ধারায় দেয়া জবানবন্দীতে আবাসিক হোটেলে গিয়ে জয়নালের সাথে ছবি তোলার কথা স্বীকার করে সে। স্বামী জাকির হোসেন দীপুর দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় ওইদিন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলোনীর একটি বাসা থেকে পুলিশ তানিয়াকে উদ্ধার করে। পরে ২২ধারয় জবানবন্দী রেকর্ডের জন্য তাকে আদালতে প্রেরন করা হয়। জবানবন্দী শেষে তানিয়ার ইচ্ছায় তাকে তার পিতার জিম্মায় দেয়া হয়। তবে তানিয়ার জবানবন্দীর মধ্যে অনেক অসঙ্গতি ও বাস্তবতার অমিল পাওয়া গেছে। জবানবন্দীর এক পর্যায়ে তানিয়া তার স্বামী জাকিরের বিরুদ্ধ্ েনির্যাতন ও নিপীড়নের অভিযোগ আনে। সে আদালতকে জানায়, যৌতুক দাবিতে স্বামী জাকির হোসেন তাকে মাধর করতো। এ ঘটনায় গত ২২ডিসেম্বর সে স্বামী জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করে। এ মামলায় জাকির হোসেন দীপু কিছুদিন জেলে ছিল বলেও জানায় সে। কিন্তু সিলেটের আদালত চষে স্বামী জাকির হোসেন দীপুর বিরুদ্ধে তানিয়ার এমনকি অন্য কারোর দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের কোন মামলার হাদীস মিলেনি। নারী নির্যাতন মামলায় দীপু কোনদিন জেলেও যায়নি। প্রকৃত পক্ষে জাকিরই তাকে ভিকটিম বানিয়ে জয়নালের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছে। যে মামলায় পুলিশ তানিয়াকে উদ্ধার করে এবং এ মামলায় জয়নাল পলাতক রয়েছে।
এদিকে গত সোমবার তানিয়া উদ্ধারের পর ঘটনাটি মিডিয়ায় প্রকাশ পেলে পলাতক জয়নাল স্থানীয় একটি পত্রিকা অফিসে যায় এবং অপহরনের অভিযোগ অস্বীকার করে। পাশপাশি তানিয়াকে সে বিয়ে করেছে এবং তানিয়া তার স্ত্রী বলে দাবি করে। এসময় সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করেন, তানিয়াকে বিয়ে করেছে জাকির হোসেন দীপু। জাকির তালাক না দিলে আপনি তানিয়াকে বিয়ে করেন কিভাবে। এসময় সাংবাদিকরা তার কাছে জাকিরের তালাকনামা ও জয়নালের সাথে নতুন করে কাবিননামা দেখাতে চাইলে কৌশলে পত্রিকা অফিস থেকে সটকে পড়ে জয়নাল।
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্মচারী (বাবুর্চি) আতাউর রহমানের মেয়ে তানিয়াকে বছর দেড়েক আগে বিয়ে করেন জাকির হোসেন দীপু। বিয়ের পর দীপুর বন্ধু জয়নালের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে তানিয়া। গত বছরের ১০ সেপেটম্বর নগরীর ময়রুন নেছা হোটেলে তানিয়া ও জয়নাল উঠলে জনতার হাতে ধরা পড়্ ।ে জনতা জয়নালকে উত্তম মধ্যম দিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়। এর পর গত ২১ফেব্রয়ারী রাতে দীপুর বাসা থেকে তানিয়াকে অপহরন কওে নেয় জয়নাল ও তার সহযোগিরা। অপহরনকালে কবির আহমদ সোহেল ও আশরাফুল নামের আরো দুই তিনজন জয়নালকে সহযোগিতা করে বলে অভিযোগে প্রকাশ। এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে অজ্ঞাত কারনে পুলিশ মামলা না নেয়ায় জাকির হোসেন দীপু গত ২৫ফেব্রুয়ারী জয়নাল আবেদীন অভিসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি দরখাস্ত মামলা করেন। আদালতের নির্দেশে সিলেট কোতোয়ালি পুলিশ গত ৩১মার্চ মামলাটি রেকর্ডে নিয়ে তানিয়াকে উদ্ধার করে। তবে এ মামলায় এজাহারভুক্ত আসামী জয়নাল ও তার সহযোগিরা এখনো পলাতক রয়েছে।