স্কুলছাত্রী কাকলীর আর্তনাদ!!

60181ডেস্ক রিপোর্টঃ আমি স্কুলে যেতে চাই। বখাটেরা আমাকে স্কুল যেতে দিচ্ছে না। আমাকে বাঁচান- এই আর্তনাত মেধাবী ছাত্রী কাকলীর। শতকষ্ট-বাধার মুখে চলে কাকলীর লেখাপড়া। মেধাবী হয়েও বখাটের অত্যাচারে এক মাস ধরে গৃহবন্দি। বিদ্যালয়ে গেলেই পথে পথে বখাটের অত্যাচার। লালমনিরহাটের আদিতমারীর দুর্গাপুরের গোবদা নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কাকলী। ওই বিদ্যালয়ের বখাটে স্কুল প্রক্সি শিক্ষক প্রভাবশালী হওয়ায় থানায় মামলা নেয়নি পুলিশ। আদালতে মামলা করলেও মামলার বাদী কাকলীর মা কুলসুম বেগমকে মামলা প্রত্যাহারের হুমকি দিচ্ছে বখাটেরা। দরিদ্র দিনমজুর মা-বাবার আদরের মেধাবী একমাত্র কন্যা আদুরী বেগম কাকলী। আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের গোবদা নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। লেখাপড়ার প্রতি ছিল তার খুবই মনোযোগ। প্রথম শ্রেণি থেকে টানা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাসে কাকলী ছিল প্রথম। গোবদা নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রক্সি শিক্ষক রবিউল ইসলাম মেধাবী ছাত্রী কাকলীকে কু-প্রস্তাব দেয়। কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ক্লাসে ফাঁকা পেলেই কাকলীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। স্কুলে কাকলী গেলে ওই বখাটে শিক্ষক তার শরীরে জোর করে হাত দেয়। প্রতিবাদ করলেই দেখায় ভয়। বখাটে রবিউলের অত্যাচারের কারণে এক মাস ধরে বিদ্যালয়ে যাচ্ছে না কাকলী। তাতে তার ক্ষতি হচ্ছে পড়াশোনার। সহপাঠীরা বিদ্যালয়ে গেলেও তাকে বাড়িতেই করতে হচ্ছে পড়াশোনা । কাকলী স্কুলে না আসায় ওই বখাটে রবিউল রাতে আকস্মিক কাকলীর বাড়িতে হামলা করে। থানায় কাকলীর মা গেলে আদিতমারী থানার পুলিশ মামলা করতে বলে আদালতে। পরে আদালতে একটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন তিনি। কাকলী জানান, স্কুলে যাওয়া-আসার পথে আমাকে বখাটেরা উত্ত্যক্ত করে। আমাকে বাঁচান। পুলিশ বখাটেকে অব্যাহতি দিতে সহযোগিতা করায় তারা স্কুলছাত্রী কাকলীর ওপর ক্ষেপে ওঠে। বেড়ে যায় উত্ত্যক্তার মাত্রা। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হাসান জানান, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য নয়। রবিউলের সঙ্গে স্কুলছাত্রীর প্রেম ছিল। পুলিশের এ বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে স্কুলছাত্রীর মা কুলসুম বেগম জানান, মহিলা মেম্বার বখাটের পক্ষে নিয়ে পুলিশকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে আসামিদের বাঁচানোর জন্য এ রিপোর্ট দিয়েছেন। ইউপি মহিলা সদস্য লাইলী বেগম জানান, কাকলীদের বাড়িতে রবিউলকে আটক করায় আমি গিয়েছিলাম। পরে গ্রামবাসীর সিদ্ধান্ত মতে তাদের সময়মতো বিয়ের চুক্তি করা হয়। ওদিকে আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকরাম জানান, স্কুলছাত্রী নতুন করে অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। – মানবজমিন