শাল্লা জুড়ে চলছে জোয়ার আসর-পুলিশের ছয় আনা দশ আনা বানিজ্য

1সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে পুলিশের পাহারায় মদ জোয়ার আসরের নামে চলছে ছয় আনা দশ আনার বানিজ্য। এসব আসরকে অনেকে বলছেন এটা হচ্ছে পুলিশের পুরাতন বানিজ্য। এ বানিজ্যের মাধ্যমে শাল্লা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের যুব সমাজ অধপতনে যাচ্ছে। শাল্লা উপজেলার বাহাড়া ইউনিয়নের প্রতি বছরই একটি সোমেশ্বরীর নামে একটি ধর্মীয় মেলা অনুষ্টিত হয়। এই মেলাটি এলাকার একটি ঐতিহ্য। এই ঐতিহ্য মেলার ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন কিছু স্বার্থনেষীমহল, শাল্লা থানায় কর্মরত পুলিশ ও তাদের দালাল চক্র। তারা তাদের লাভের আসায় এই ধর্মীয় মেলাতে বসিয়েছেন অবৈধ জোঁয়ার আসর। মেলায় এলাকার হিন্দু মুসলমান সবাই আনন্দে উৎসব পালন করেন। কিন্তু মেলার শেষ পর্যায়ে সোমবার সন্ধ্যা থেকে সারারাত ধর্মীয় অনুষ্টানে পুলিশ অবৈধ জোঁয়ার আসরের মাধ্যমে মেলার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে। এতে এলাকার সচেতন মহল ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও, উপজেলার আনন্দপুর গ্রামের সোমাই ঠাকুরানী নামে ধর্মীয় প্রতিষ্টানে একটি মেলা অনুষ্টিত হয়। এই মেলা থেকেও শাল্লা থানার ক্যাশিয়ার নামধারী তাহের মিয়া ৪০ হাজার টাকা নিয়ে যান বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমেশ্বরী মেলাতেও ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে ধর্মীয় প্রতিষ্টানে মেলা বসিয়েছেন। মেলায় জুয়ার আসর বন্ধে জেলা পুলিশ সুপার ও সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার(দিরাই সার্কেল) সুরত আলমের সাথে যোগাযোগ করলে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলার রহমান আয়োজকদের সাথে হাত মিলিয়ে ফায়দা হাসিল করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে পুলিশের উপস্থিতিতেই নির্বিঘেœ জুয়াড়ীরা রাতভর জুয়া খেলা ও মাদকের নেশায় ডুবে থাকতে দেখা যায়। পুলিশ ও জুয়াড়ীদের কাছে অসহায় সাধারণ মানুষ এর প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি কেউ। গ্রামের কতিপয় অর্থলোভী লোকজন সরকারি দলের নাম ভাঙ্গিয়ে থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে প্রতিদিন মেলার আয়োজন করছে। জানা যায়, মেলায় জুয়াড়ীদের কেডি ঘর থেকে অন্তত বার লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এর মধ্যে থানা পুলিশকে ছয় আনা আর মেলা কমিটিকে দেওয়া হয়েছে দশ আনা। ফাল্গুন চৈত্র মাসের প্রতি দিনই উপজেলার কোন না কোন গ্রামে বসে এ জোয়ার আসর। এছাড়াও প্রতাপপুর, নারায়নপুর, চাকুয়া, কল্লিসহ বিভিন্ন গ্রামে মেলা বসে। এসব আসর থেকে শাল্লা থানা পুলিশকে ছয়আনা আর মেলা আয়োজক কমিটি পাবে দশ আনা।
এব্যাপারে শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বজলার রহমান বলেন, মেলাতে জোয়ার আসর বসার জন্য কোনো অনুমোদন দেয়া হয়নি। আয়োজকরা যদি বিচ্ছিন্ন ভাবে করে থাকে তবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জের এসপি মো.হারুনুর রশিদ জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই তবে এ রকম কিছু হলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।