‘ইভটিজিং এর প্রতিবাদ করায় খুন হন বিকল’, অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা পলাতক

1

ডেস্ক রিপোর্ট :: নগরীর রায়নগরে মঙ্গলবার মধ্যরাতে ১৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জাভেদ সিরাজের ছোটভাই ও যুবলীগ নেতা জামশেদ সিরাজের হামলায় নিহত হন বিকল রায় (২২) নামে এক যুবক।

একই ঘটনায় আহত হন বিকলের দুই বন্ধু অনন্ত ও প্রীতম। অনন্ত শ্রমিকলীগ নেতা হিরালাল দাসের পুত্র। নিহত বিকল রায় (২২)  নগরীর মেজরটিলা দেবপুর এলাকার বাসিন্দা বিপ্লব রায়ের পুত্র।

নিহত বিকলের পরিবার জানিয়েছে পূর্ব শত্রুতা ও ইভটিজিং এর প্রতিবাদ করার জেরে বিকলকে খুন করা হয়েছে। বিকলের পরিবার সূত্রে জানা যায় পাঁচ ছয় মাস আগে বিকলের ভাতিজিকে ইভটিজিং করত সুমন দাস নামক এক বখাটে যুবক। এর প্রতিবাদ করায় সুমন বিকলকে দেখে নিবে বলে হুমকি দেয়। হুমকি পেয়ে বিকলের পরিবারের পক্ষ থেকে গত বছরের ১৫ অক্টোবর সিলেট কতোয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। সাধারণ ডায়েরি নং- ৫৫৭।  বিকলের পরিবার অভিযোগ পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি, তারা দাবি করেন সুমনই জামশেদকে দিয়ে বিকলকে খুন করিয়েছে।

এদিকে সিলেট কতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুহেল আহমদ জিডি হবার কথা অস্বীকার করেন।

মঙ্গলবার(১৫ মার্চ) দিবাগত (১৬ মার্চ রাত) রাত ১২টায় ১৮ নং ওয়ার্ড যুবলীগের নেতা জামশেদ সিরাজ কথাকাটাকাটির জের ধরে অনন্ত ও তাঁর দুই বন্ধুকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করলে গুরুতর আহত বিকল সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসতাপালে রাত ১টার দিকে  মারা যান।

এদিকে এই ঘটনায় জামশেদ সিরাজকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে। হামলার পর পরই জামশেদ সিরাজ এলাকা থেকে পালিয়ে গেছেন। পুলিশ জানিয়েছেন তাকে ধরতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান চালানো হচ্ছে।