নেপালে বিমান বিধ্বস্ত : সব আরোহীর মৃত্যুর আশঙ্কা
ডেস্ক রিপোর্টঃ বুধবার নেপালের পার্বত্য অঞ্চলে এক বিমান দুর্ঘটনায় ২৩ আরোহীর সবাই নিহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নেপালের পর্যটন ও বেসামরিক বিমানমন্ত্রী আনন্দ পোখারেলের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে সিএনএন। খবরে বলা হয়েছে, বিমানটি তারা এয়ার নামে একটি বেসরকারি কোম্পানির। তারা এয়ারের মুখপাত্র ভিম রায় এর আগে বলেছিলেন, ২১ জন আরোহী বিমানে ছিলেন। তবে আরোহীদের মধ্যে দুই শিশু রয়েছে জানতে পেরে, কিছুক্ষণ পরই তিনি জানান, আরোহীদের প্রকৃত সংখ্যা ২৩। তবে প্রাথমিকভাবে আরোহীদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
বুধবার সকালে পোখারা শহরে ওই বিমানটি উড্ডয়ন করে। জমসম নামে একটি শহরে বিমানটির অবতরণের কথা ছিল। মাত্র ১৯ মিনিটের যাত্রা হওয়ার কথা ছিল এটি। কিন্তু উড্ডয়নের ৮ মিনিটের মাথায় বিমানটির সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। নেপালের ম্যাগদি জেলার বাসিন্দারা বনের মধ্যে ধোয়া দেখতে পেয়ে নিরাপত্তা বাহিনীকে জানান। কর্তৃপক্ষ এসে বিমানের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায়।
বিমানের আরোহীদের মধ্যে ছিলেন ২০ জন যাত্রী ও ৩ জন ক্রু। যাত্রীদের মধ্যে দুজন ছিলেন বিদেশি নাগরিক। একজন চীনা, অপরজন কুয়েতি। এখন পর্যন্ত বিমান বিধ্বস্তের কারণ জানা যায়নি।
তারা এয়ারের মুখপাত্র বলেন, আবহাওয়া পরিষ্কার ছিল। বিমানটিও ছিল নতুন। গত সেপ্টেম্বরে কানাডা থেকে আমদানি করা হয়েছে। নিজেদের ওয়েবসাইটে তারা এয়ার নিজেদের ‘নেপালের সবচেয়ে নতুন ও বৃহত্তম এয়ারলাইন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান’ হিসেবে দাবি করেছে।
সিএনএনের সংবাদে বলা হয়েছে, যে অঞ্চলে এ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে, সেটি ঝড়ো হাওয়া, শীত ও দুর্গম পার্বত্যঞ্চলের জন্য খ্যাত। ২০১২ সালে একই রুটে অগ্নি এয়ারের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে নিহত হয় ১৫ জন। ৬ আরোহী বেঁচে যান।