মিথ্যা মামলা ও ভূমিদস্যুদের ষড়যন্ত্র তদন্তের দাবীতে ৬ গ্রামের অধিবাসীদের স্মারকলিপি

সিলেট সদর উপজেলার কালাগুল বাগানের আলমক্কা ল্যান্ড কোম্পানির ম্যানেজারের ষড়যন্ত্র ও পুলিশি হয়রানি বন্ধের ৬ গ্রামের প্রায় ২ শাতাধিক অধিবাসী সিলেট জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সকালে সিলেট জেলা প্রশাসকের বরাবারে এ স্মারকলিপি দেন কালাগুল বস্তি, মাখরখলা, পাইকপাড়া, কুশাল, সিদাইরগুল, ভারারহাট গ্রামের অধিবাসীরা।
অধিবাসীরা তাদের স্মারকলিপিতে ভূমিদস্য‘আল মক্কা ল্যান্ড কোম্পানি’ ও তার ম্যানেজার মো. আব্দুর রহমান ও সৈয়দ মুজাহিদ আলী গং ষরযন্ত্র ও পুলিশি অত্যাচার বন্ধে নিরেপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দাবী জানান।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, দ্রুত সম্প্রসারশীল জেলা শহরের সংলগ্ন হওয়ায় এই অঞ্চলের ভূমির গুরুত্ব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে আমাদের এই ভূমি সম্পদকে কেন্দ্র করে জেলার কিছু চিহ্নিত ভুমিদশ্যুর অপতৎপরতা এলাকার পরিবেশকে অশান্ত করে তুলছে। তারা প্রভাবশালী এবং প্রশাসনের কিছু কর্মকতা আতাত করে বেপরোয়া হয়ে উঠছে। এলাকার নিরীহ মানুষের ওপর চুরি, ডাকাতি রাহাজানির অভিযোগে একের পর এক মিথ্যা মামলায় হয়রানী করে জনগনকে প্রশাসন ও দেশবাসীর কাছে উদ্দেশ্যমূলক ভাবে চিত্রীত করছে। এর ধারাবাহিকতায় পুলিশি তৎপরতায় অতিষ্ঠ জনগণ হাট-বাজার এমন কি আদালতে হাজির হতে পারছেন না। বিগত ২৮ অক্টোবর ও ৫ ডিসেম্বর যৌথবাহিনী এবং পুলিশ অভিযান চালিয়ে এলাকার নিরীহ শ্রমিকদের হয়রানি করা হচ্ছে। করা হচ্ছে গুলিবর্ষণ। পুলিশ শ্রমিকদের উপর নির্যাতন ও ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে উল্টো পুলিশ এসল্ট মামলা দিয়েছে। বর্তমানে ভূমিদস্যুদের চক্রান্তের শিকার হয়ে গ্রেফতার, মামলা, ক্রসফায়ার, ও উচ্ছেদ আতংকে দিন কাটচ্ছে। পুলিশ ও যৌথবাহীনির অভিযানে রক্ষা পায়নি মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিও । পুলিশি নির্যাতনে আসবাবপত্র ভাংচুর ও আহত হয়েছেন, মানসিক ভারসাম্যহীন মো. তোতা মিয়া, রাবার শ্রমিক সুজন মিয়া, কবির মিয়া, সুজন মিয়া, মৌরালী মিয়া, সেলিম মিয়া, কবির মিয়া। এছাড়াও যৌথবাহিনীর শিকার হয়েছেন সাহেদা বেগম, রাসনা বেগম, সাবানা বেগমসহ আরো অনেকে।
স্মারকলিপিতে আরো উল্লেখ করা হয়, বিগত ২০০৪ সালে বিএনপি-জামায়েত জোট সরকারের আমলে প্রশাসনের পৃষ্ঠপোষকতায় উল্লেখিত আব্দুর রহমানের সন্ত্রনী বাহিনী গঠন করে এলাকার নিরিহ কৃষকদের খাস জমি ও বিভিন্ন টিলা দখল করে। এক সময় এলাকাবাসী আন্দোলন গড়ে তোলে। জোট সরকার ক্ষমতাচ্যুত হলে আল মক্কা কোম্পানী ও ভূমিদস্যুরা পরবির্ততে এলাকা ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়। তবে ওই ভূমি খোকো চক্র এলাকাবাসীদের মিথ্যা মামালা দিয়ে হয়রানী করতে থাকে। বর্তমানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কতিপয় স্বার্থন্বেসী জেলা নেতারা পর্দার অন্তরালে থেকে প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে জনগণের মুখোমুখি দাড় করিয়েছে। এতে এলাকাবাসীদের সাথে প্রশাসনের বিরুপ সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। স্মারকলিপি প্রদান কালে উপস্থিত ছিলেন সুন্দর আলী, শুকুর আলী, কৃতিস পাত্র, অতিল পাত্র, ফাত্বা মিয়া প্রমুখ।