বেকার যুবকদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে এখন ঘুরে দাঁড়ানোর সময়

হবিগঞ্জে যুব মৈত্রী জেলা সম্মেলনে কমরেড সিকান্দর আলী

IMG_2711 copy“শোষণ বঞ্চনা বেকারত্বের বৃত্ত ভাঙ্গো, যুব অধিকার প্রতিষ্ঠা কর যুব কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা বিধান কর, নিয়োগ বাণিজ্য ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোল”- এই শ্লোগানকে সামনে রেখে গতকাল মঙ্গলবার বেলা ৩টায় হবিগঞ্জ প্রেসকাবে যুব মৈত্রী হবিগঞ্জ জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলন উদ্বোধন করেন যুব মৈত্রী কেন্দ্রীয় সহ সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম তপন।
মোঃ জালাল উদ্দিন রুমির সভাপতিত্বে ও শামসুল হক মাস্টারের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কমরেড সিকান্দর আলী শুরুতে- হবিগঞ্জের বাহুবলের সুন্ত্রাটিকি গ্রামের ৪ শিশু হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যালের আওতায় এনে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেন। তিনি সরকারকে হুশিয়ার করে বলেন, হবিগঞ্জে কুলিয়ারচরে চা শ্রমিকদের একমাত্র সম্বল আবাদি জমি নিয়ে অর্থনৈতিক জোনের নামে গ্রাস করার যে অপচেষ্ঠা করছে তা কখনই হবিগঞ্জ জেলা যুব মৈত্রী, ছাত্র মৈত্রী, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন, নারী মুক্তি সংসদ, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির একটি নেতাকর্মীও বেঁচে থাকতে তা সফল হতে দেবে না। তাই তিনি হবিগঞ্জ জেলার যুব মৈত্রীর নব নির্বাচিত নেতাকর্মীর উদ্দেশ্য বলেন, আজ বাংলাদেশে বেকার যুবকদের হাজারো সমস্যা। কেউ জড়িয়ে পড়ছে সর্বনাশা মাদকে কেউ হাতে তুলে নিচ্ছে অস্ত্র, কেউবা আবার বিদেশে পাড়ি দিয়ে গিয়ে সাগরেই দিতে হচ্ছে প্রাণ। মালয়েশিয়া, ব্রাজিলের গহীন জঙ্গলের গণকবরে হচ্ছে তাদের শেষ ঠিকানা। এই চিত্র দেখার জন্য তো বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি? মুক্তিযুদ্ধের পরে সর্বসম্মতিক্রমে একটি সংবিধান রচনা করা হয়েছিল যার নাম ৭২ এর সংবিধান। সেই সংবিধানে সমাজতন্ত্রের কথা ছিল। আজ সমাজতন্ত্রের সমাজ ব্যবস্থা থাকলে সমাজের এই দুর্গতি এতো শিশু হত্যা, এত বেকার যুবকের সশীল সমাধী, এত দুর্নীতি, সন্ত্রাসী, রাহাজানি, মাদকের থাবা, আমাদের গ্রাস করতে পারতো না। যুব সমাজের আজ দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। এখন ধাক্কা দেওয়ার সময়। তাই ৭২এর সংবিধান পূণঃপ্রতিষ্ঠা করে এই ঘুনে ধরা সমাজটাকে পরিবর্তন করতে হবে। এই কঠিন দায়িত্ব হবিগঞ্জের যুব মৈত্রীর প্রত্যেকটি নেতাকর্মীকে কাঁধে নিতে হবে। বক্তব্য শেষে হবিগঞ্জে জেলা যুব মৈত্রী নব নির্বাচিত কমিটিকে আগাম ধন্যবাদ জানিয়ে আগামী দিনের লড়াই সংগ্রামে রাজপথে থাকার আহ্বান জানান। এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড তপন দত্ত, হবিগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি কমরেড জালাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক কমরেড সফিকুল ইসলাম, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য কমরেড শাহ আলম, তাহির জমাদ্দার, ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি কৃষ্ণ ধর দাস প্রমুখ।