হেলেন হত্যার প্রতিবাদে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান
গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি: শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি বলেছেন, গোলাপগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের মৃত আব্দুস ছামাদ এর মেয়ে অন্তসত্ত্বা হালিমা আক্তার হেলেন এর হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচার করা হবে। বর্তমান সরকার আইন- শৃঙ্খলা রাক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন। অপরধারী যতই প্রভাশালী হোক না কেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কোন অপরাধীকে ছাড়া দিচ্ছেন না। হেলেন হত্যার সাথে যারা জড়িত সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আসামীদের গ্রেফতার করতে প্রশাসনের প্রতি নির্দেশ দেন। শিক্ষামন্ত্রী গতকাল ২৩ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার রাতে সিলেট সার্কিট হাউজে হেলেন হত্যাকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করার দাবীতে “হেলেন হত্যার প্রতিবাদে আমরা গোলাপগঞ্জবাসীর” পক্ষে প্রদানকৃত স্মারকলিপি গ্রহণ করে উপস্থিত নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে এসব কথাগুলো বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন হেলেন হত্যার প্রতিবাদে আমরা গোলাপগঞ্জবাসীর আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এম.এ বাসিত, মুক্তিযোদ্ধা যথাক্রমে ছানা মিয়া, মুহিবুর রহমান চেরাগ ও জামাল উদ্দিন মজনু, আওয়ামীলীগ নেতা মুশাহিদ আলী, আনোয়ার হোসেন সোনা, মামুনুর রশিদ নুর, মোফাজ্জল হোসেন তেরা, আব্দুল আহাদ, এম শফিকুর রহমান, সাবেক ইউপি সদস্য জামাল উদ্দিন, পরিবেশ ও মানবাধিকার উন্নয়ন সোসাইটি সিলেট জেলা শাখার সভাপতি জিল্লূর রহমান জিলু, অর্থ সম্পাদক জলিলুর রহমান জলিল, জেলা যুবলীগ নেতা জুবায়ের আহমদ, সাবেক ছাত্রনেতা জিল্লুর রহমান দিলু, শরীফ উদ্দিন, আব্দুল মালিক, রফিক উদ্দিন, শ্রমিকলীগ নেতা হেলাল উদ্দিন মছরু, মুহিবুর রহমান আনা মিয়া, ব্যবসায়ী মোঃ রেজু আহমদ, সাকির হুসাইন, হিরা মিয়া প্রমুখ। স্মারকলিপি সূত্রে জানা যায়, অন্তসত্ত্বা হালিমা আক্তার হেলেনকে বিশ্বনাথের দিঘলী খোজারপাড়া গ্রামের মৃত মোজাফর আলী ছেলে নজরুল ইসলাম ওরফে নুরুল ইসলাম জুলফিকার এর সাথে গত ৭ মাস পূর্বে বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকেই স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন যৌতুকের দাবীতে হেলেনকে নির্যাতন করে আসছিল। গত ৫ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার হেলেনকে তার স্বামী ও পরিবারের লোকজন হাত-পা বেধে গলা কেটে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ব্যাপারে হেলেনের ভাই রফিক আহমদ বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেক করে ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত রেখে বিশ^নাথ থানায় মামলা দায়ের করেন। যার নং- ০৯, তারিখ ০৫/০২/২০১৬ইং এবং জি.আর মামলা নং ৩১/১৬ইং। হেলেনের ঘাতক স্বামীকে পুলিশ গ্রেফতার করলে অন্যান্য আসামীগণ প্রভাবশালী হওয়ায় সুষ্ঠু তদন্ত বেহত হচ্ছে এবং বাদী পক্ষ মামলা প্রত্যাহার করার জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকী প্রদান করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে সচেতন গোলাপগঞ্জবাসী ইতিমধ্যে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য এবং আসামীদের গ্রেফতার ও ফাসির দাবীতে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করে যাচ্ছেন।