শেষ হচ্ছে অপেক্ষার পালা : ট্রেন চলবে ‘সুনামগঞ্জ টু ঢাকা’!
ডেস্ক রিপোর্টঃ মাত্র ৪৬ কি.মি. রেলপথের জন্য আটকে ছিল সরাসরি ট্রেনে করে সুনামগঞ্জবাসীর ঢাকা যাওয়া। দীর্ঘদিন ধরে স্বপ্নপূরণ হচ্ছিলো না তাদের। এ সামান্য রেলপথ হলেই পাল্টে যাবে গোটা জনপদের চিত্র।
সুনামগঞ্জবাসীর দীর্ঘদিনের সে অপেক্ষা এবার শেষ হচ্ছে। সুনমগঞ্জবাসী এ দাবি পূরণের লক্ষ্যে রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক কাছে ডিও লেটার দিয়েছেন সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ।
রবিবার ডিও লেটার প্রদান করার পর মন্ত্রী এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয়ের ডিজিকে নির্দেশ দিয়েছেন। পরে সংসদ সদস্য মিসবাহ রেল’র ডিজি আমজাদ হোসেনের সাথে সাক্ষাত করলে শিগগিরই এব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আশ্বস্থ করা হয় তাকে।
সুনামগঞ্জ জেলা সদরে রেল লাইন সম্প্রসারণের জন্য গত সপ্তাহে জাতীয় সংসদে রেলপথ মন্ত্রীর কাছে দাবি জানান সংসদ সদস্য পীর মিসবাহ। এ দাবির প্রেক্ষিতে মন্ত্রী ডিও লেটারসহ তার সাথে সাক্ষাৎ করতে বললে রবিবার মিসবাহ মন্ত্রীর সাথে দেখা করেন। এদিকে, একই দাবিতে গত ২৪ অক্টোবর শনিবার বিকালে ঢাকাস্থ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
সিলেট থেকে ছাতক পর্যন্ত রেলপথ রয়েছে। শুধুমাত্র ছাতক থেকে সুনামগঞ্জ পর্যন্ত মাত্র ৪৬ কি.মি. রেলপথ নেই। এটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে হাওরে বসবাসরত লাখো মানুষের জীবনমানের ইতিবাচক উন্নয়ন সম্ভব। হাওরাঞ্চলের মানুষের জীবনে প্রাণের সঞ্চার করতে পারে এই রেলপথ।
বাংলাদেশে প্রথম বারের মতো ২০১১ সালে ৫ ডিসেম্বর রেলপথ মন্ত্রণালয় যাত্রা শুরু করে। দেশের প্রথম রেলপথ মন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয় সুনামগঞ্জের সন্তান বর্ষিয়ান রাজনীতিক সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে। তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পরই গণমানুষের এ দাবির প্রতি গুরুত্ব দিয়ে এক জনসভায় ছাতক-সুনামগঞ্জ রেলপথ বাস্তবায়ন এবং মোহনগঞ্জ হতে ধর্মপাশা রেলপথ বর্ধিত করণের ঘোষণা দেন।
তৎকালিন মন্ত্রীর ঘোষণায় সুনামগঞ্জ শহরে রেলের টিকেট কাউন্টার স্থাপন করেন। তখন মানুষের মনে নতুন স্বপ্ন জাগ্রত হয় রেল ঘিরে। কিন্তু কিছুদিন পর সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত মন্ত্রীর পদ ত্যাগ করায় হতাশা দেখা দেয় সুনামগঞ্জবাসীর মাঝে। একই সাথে থমকে ছাতক-সুনামগঞ্জ রেলপথ স্থাপনের প্রক্রিয়া।