গোবিন্দগঞ্জে বৃটেন প্রবাসীদের উদ্যোগে প্রতিষ্টা করা হচ্ছে পঞ্চাশ বেডের হাসপাতাল

gobindo gonj hospitalসুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জে যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের উদ্যোগে নির্মিত হতে যাচ্ছে পঞ্চাশ বেডের একটি আধুনিক হাসপাতাল ও নার্সিং ট্রেনিং কলেজ। প্রকল্প বাস্তবায়নে ইতিমধ্যেই নয় কেদার জমি ক্রয়ের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এই প্রজেক্টে প্রাথমিক ভাবে ২০ কোটি টাকা  বিনিয়োগ করা হবে। নির্মিতব্য এই পার্পাসবিল্ট হাসপাতালটি প্রতিষ্টায় বৃটেনে বসবাসরত সকল প্রবাসীর সহযোগীতা কামনা করেছেন  উদ্যোক্তারা। ইষ্টলন্ডনের হোয়াইট হাউজ ব্যানুতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রকল্প  পরিচালক ও  হাসপাতাল প্রতিষ্টার  মেইন উদ্যোক্তা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সাবেক কাউন্সিলার ও ছাতক ব্রীজ একাডেমীর চেয়ারম্যান আইয়ুব করম আলী এর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন  বৃটেনে বসবাসরত বিভিন্ন পেশাায় ককর্মরত বিশেষ করে ডাক্তার, শিক্ষাবিদ ও ব্যবসায়ীরা জন্মভুমি তথা এলাকার অসহায় মানুষের সাহায্যার্থে এই উদ্যোগ নিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় এই প্রজেক্টে ৫০জন ডিরেক্টর নেয়া হবে। প্রত্যেক ডিরেক্টর ২৫লক্ষ টাকা করে বিনিয়োগ করবেন। এই হাসপাতালে শুধু রোগীদের চিকিতসার ব্যবস্থাই নয় হাসপাতাল  প্রাঙ্গনেই ডাক্তার ও নার্সদের  থাকার জন্যে আবাসিক  কোয়াটার তৈরী করা হবে । প্রথম পর্য্যায়ে প্রসুতি, শিশু  দুর্ঘটনা ও জরুরী বিভাগ ছাড়াও জেনালের হাসপাতালের কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এই প্রকল্পের মেইন উদ্যোক্তা ছাতক ব্রিজ একাডেমীর চেয়ারম্যান শিক্ষাবিদ আইয়ুব করম আলী জানান এই হাসপাতালটি চালু করা হলে ছাতক-দোয়ারা ও পাশ্ববর্তি বিশ্বনাথ  উপজেলার হাজার হাজার মানুষ উপকৃত হবেন। শুরু থেকে চিকিতসার ব্যয়ভার বহনে অক্ষম রোগীদের বিনামূল্যে সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা রাখছে হাসপাতালটি। হাসপাতাল নির্মানের জন্যে নির্ধারিত নয় কিয়ার জমির মালিক আখলাকুর রহমান নিজেও এই উদ্যোগের সাথে জড়িত থাকবেন। এই ফেব্র্রুয়ারী মাসে জমি  ক্রয়ের বিষয়টি সম্পন্ন হবে। এর পর শুরু হবে প্রাথমিক কাজ। প্রকল্পটিকে এগিয়ে নিতে  উদ্যোক্তারা বৃটেনের বাংলাদেশী কমিউনিটি সহ দেশে বিদেশে সকলের  সহযোগীতা কামনা করেছেন।  এপর্যন্ত যারা ডাইরেক্টর হিসেবে যারা যুক্ত হয়েছেন তারা হলেন ছাতক ব্রিজ একাডেমীর চেয়ারম্যান আইয়ুব করম আলী, ডাক্তার আব্দুর রহমান (চক্ষু বিশেষজ্ঞ), ডাক্তার মইন উদ্দিন (জিপি), ডাক্তার সেলিম মোহাম্মদ আলী (কনসালটেন্ট), ডাক্তার আজম খান, ডাক্তার শাহিন খান, ডাক্তার আফসর উদ্দিন, মোহাম্মদ আব্দুল মুকিত (ব্যবসায়ী), মোহাম্মদ খেলুমিয়া(ব্যবসায়ী), রইছ আলী (ব্যবসায়ী), অলিউর রহমান (মার্কেটিং কনসালটেন্ট), ওমর আলী (ব্যবসায়ী), হিরন মিয়া (ব্যবসায়ী), অধ্যাপক শাহগীর বখত ফারুক, আঙ্গুর মিয়া, ও আসগর আলী। সংবাদ সম্মেলনে অধিকাংশ ডিরেক্টররা উপস্থিত  থেকে তাদের  দৃঢ় প্রত্যয়ের কথা ব্যক্ত করেন। এসময় ডাইরেক্টরা বলেন এলাকায় হাসপাতালের মতো এককটি সেবামূলক প্রতিষ্টান করতে পারলে নিজেদের ধন্য মনে করবো। এখানে উল্লেখ্য যে বাংলাদেশে নিবন্ধিত জমজম হেল্থ কেয়ার  প্রাইভেট লিমিটেডের প্রকল্প হবে এই প্রতিষ্টান।