সিলেটীদের হতাশার কথা শুনলেন যুক্তরাজ্যের নতুন হাইকমিশনার
ডেস্ক রিপোর্টঃ বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেননের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের নতুন হাইকমিশনার অ্যালিসন ব্ল্যাক। রবিবার সকালে সচিবালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করতে যান তিনি। এ সময় ভিসা অফিস স্থানান্তরে বাংলাদেশের মানুষের ভোগান্তি, বিশেষ করে সিলেটের মানুষদের হতাশার বিষয়টি হাইকমিশনারকে জানান মন্ত্রী।এ সময় নতুন হাইকমিশনার অ্যালিসন ব্ল্যাক বলেন, নিরাপত্তা প্রশ্নে নয়, খরচ কমাতেই যুক্তরাজ্যের ভিসা অফিস ঢাকা থেকে দিল্লিতে স্থানান্তর করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাংলাদেশের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগে তার দেশের সন্তুষ্টির কথাও জানান তিনি।অ্যালিসন বলেন, এখন অনলাইনের যুগ। পাসপোর্ট নিয়ে দিল্লি যেতে হচ্ছে না কাউকে। অনলাইনে ৮০ শতাংশ কাজই হয়ে যায়। শুধু ২০ শতাংশ কাজ দিল্লিতে হচ্ছে। এতে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। আমরা খরচ কমিয়ে আনতে অফিসটা সেখানে নিয়েছি।অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের দেওয়া প্রস্তাবগুলোর জবাবে নেওয়া বাংলাদেশের উদ্যোগের প্রশংসা করেন ব্ল্যাক।তিনি বলেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তায় বাংলাদেশ সরকার যা করেছে, তার জন্য স্বাগতম জানাতেই হয়।সৌজন্য সাক্ষাতে ব্ল্যাক অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর মধ্যে একটি যৌথসভার প্রস্তাব দেন।উত্তরে মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন তাকে বলেন, এতে কোনো আপত্তি থাকার প্রশ্নই আসে না। সবাই নিরাপত্তা চায়। তাই একটি সভা করে পারস্পরিক আলোচনায় ভালো কোনো উদ্যোগ আসতে পারে।মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, দিনক্ষণ নিয়ে আলোচনা না হলেও শিগগিরই এমন একটি যৌথসভার আয়োজন করা হবে।বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ বাড়ানোর প্রস্তাব দেন মন্ত্রী। এর জবাবে ব্ল্যাক জানান, স্কলারশিপ আরও বাড়ানো হবে। দু’দেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে এবং তা বজায় থাকবে বলেও আশা করেন হাইকমিশনার।