কেমন হবে ঢাকার মেট্রোরেল (ভিডিও)
ডেস্ক রিপোর্টঃ রাজধানীর উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০.১ কিলোমিটার দীর্ঘ মেট্রোরেলের অবকাঠামো নির্মাণকাজ (গ্রাউন্ড ব্রেকিং) শুরু হবে মার্চের শেষের দিকে। ২০১৯ সালে প্রকল্পের কাজ আংশিক সম্পন্ন হবে। আর ২০২০ সালে ঢাকাবাসী মেট্রোরেলে চড়ার সুযোগ পাবে। কেমন হবে এই মেট্রোরেল? কী কী সুবিধা থাকছে এতে? রাজধানীবাসীর উল্লিখিত প্রশ্নের জবাব দেওয়া হয়েছে একটি ভিডিওচিত্রে।
ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (ডিএমআরটিডিপি) একটি এনিমেটেড ভিডিওতে মেট্রোরেলের ভেতর-বাইরের বিস্তারিত জানিয়েছে। প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এই মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ শুরু হয়েছে এরই মধ্যে। প্রথম পর্যায়ে (এমআরটি-৬) উত্তরা থেকে মিরপুর-আগারগাঁও হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত যাবে মেট্রোরেল। ঘণ্টায় ৬০,০০০ যাত্রী পরিবহন করবে ২৪ জোড়া ট্রেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর দিয়ে মেট্রোরেলের পথ নেওয়ায় শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামলেও ‘ডিএমআরটিডিপি’ কর্তৃপক্ষ বলেছে, নিরাপত্তা ও সুরক্ষার সব ব্যবস্থাই তারা নিয়েছে। রাজধানীর রাস্তার মাঝ বরাবর উপর দিয়ে চলবে মেট্রোরেল। মেট্রোরেল স্টেশন হবে প্রায় দোতলা সমান উঁচু। বিনা টিকেটে কেউ ভ্রমণ করলে গুণতে হবে জরিমানা। ১৬টি স্টেশন থাকবে উত্তরা (উত্তর), উত্তরা (সেন্টার), উত্তরা (দক্ষিণ), পল্লবী,মিরপুর-১১, মিরপুর-১০ নম্বর, কাজীপাড়া, শ্যাওড়াপাড়া, আগারগাঁও, বিজয় সরণি. ফার্মগেট, কারওয়ানবাজার, শাহবাগ, টিএসসি, প্রেসক্লাব ও মতিঝিল। পুরো পথ যেতে ৪০ মিনিটেরও কম সময় লাগবে।
এই মেট্রোরেলের প্রতিটি কামরা হবে সুপরিসর। সেখানে যাত্রীদের জন্য থাকবে আরামদায়ক আসন। প্রতিটি কামরা হবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। ট্রেনে ওঠা-নামার সুবিধার্থে প্রতিটি স্টেশনে থাকবে সুপরিসর প্ল্যাটফর্ম, যেখানে সাড়ে তিন মিনিট পরপর ট্রেন এসে দাঁড়াবে। যাত্রীদের সুবিধার্থে স্টেশনে প্রবেশের সময় মেশিনে ভাড়া সংগ্রহ করা হবে। স্বয়ংক্রিয় কার্ডের মাধ্যমে ভাড়া পরিশোধ করবেন যাত্রীরা।
উড়ালসড়ক দিয়ে চড়বে মেট্রোরোল। মূল রাস্তার মাঝ বরাবর এ উড়ালসড়ক নির্মিত হবে। যানজট যাতে না হয়, সেভাবেই উড়ালসড়ক তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রায় এক কোটি ৪৫ লাখ লোকের বসবাস রাজধানী শহর ঢাকায়। বিপুল এ লোকজনের শহরে যানজট নিরসনে কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা তথা স্ট্র্যাটেজিক ট্রান্সপোর্ট প্ল্যান নিয়েছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)। এ পরিবহন পরিকল্পনার আওতায় ডিটিসিএর তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ সরকার ও জাইকার অর্থায়নে মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে।