শাবিতে ছাত্রদের র্যাগিংয়ে ছাত্রী অজ্ঞান! : প্রতিবাদ করায় হামলা
ডেস্ক রিপোর্টঃ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনিয়র ছাত্রদের র্যাগিংয়ে এক ছাত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের নবাগত এক ছাত্রী কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায়ার ছাদে র্যাগিংয়ের শিকার হন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ক্যাম্পাস সূত্র জনায়, গণিত বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী নজরুল ইসলাম রাকিব, মাহমুদ, মোশারফ এবং কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রাজু গণিত বিভাগের এক ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে র্যাগের নামে হয়রানি করে। একপর্যায়ে ওই ছাত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এনিয়ে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ছাত্রীকে র্যাগিংয়ের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এসোসিয়েট প্রফেসর কামরুজ্জামান চৌধুরী।
এ ব্যাপারে সিলেট জালালাবাদ থানার ওসি আক্তার হোসেন জানান, প্রক্টর স্যারের ফোন পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছে।
এদিকে র্যাগিংয়ের প্রতিবাদ করায় সিনিয়র শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করেছে জুনিয়র শিক্ষার্থীরা। প্রত্যক্ষদর্শী ও ক্যাম্পাস সূত্র জনায়, গনিত বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী নজরুল ইসলাম রাকিব, মাহমুদ, মোশারফ এবং কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রাজু গনিত বিভাগের এক ছাত্রীকে র্যাগ দেওয়ার সময় ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের আতিয়ার, মেহেদী ও ইইই বিভাগের সালমান প্রতিবাদ করেন।
পরবর্তীতে রাজু ও রাকিবের নেতৃত্বে প্রথম বর্ষের জুনিয়র শিক্ষার্থীরা আতিয়ার, মেহেদী ও সালমানের উপর হামলা করে। ঘটনার জেরে ক্যাম্পাস ও কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এসময় জুনিয়র শিক্ষার্থীদের হাতে লাঞ্চিত হয় আরও বেশ কয়েকজন সিনিয়র শিক্ষার্থী।
ছাত্রীকে র্যাগিং ও সিনিয়র শিক্ষার্থীদের মারধরের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক কামরুজ্জামান চৌধুরী। এ সময় তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের ব্যাপারে প্রশাসন জিরো টলারেন্স। বিষয়টি আইনের মাধ্যমেই সমাধান করা হবে।
বিষয়টি নিয়ে জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আক্তার হোসেন জানান, প্রক্টর স্যারের ফোন পেয়ে আমরা ছুটে আসি। এখন উত্তেজনা প্রশমিত। আশা করছি বড় কোন ঘটনা ঘটবে না।
এ বিষয়ে সিনিয়র শিক্ষার্থী আতিয়ার রহমান জানান, র্যাগিংয়ের প্রতিবাদ করায় আমিসহ আমার বন্ধুদের উপর কতিপয় উগ্র জুনিয়র হামলা করে।
এদিকে র্যাগিংয়ের সাথে সংশ্লিষ্টতা ও সিনিয়রদের উপর হামলা প্রসঙ্গে জানতে যোগাযোগ করা হলে জুনিয়র শিক্ষার্থী নজরুল ইসলাম রাকিবের মুঠোফোন তার বন্ধু রিসিভ করে জানায়, রাকিব আহত হয়ে ওসমানী হাসপাতালের ৭নং ওর্য়াডে চিকিৎসারত।