কুলাউড়ায় আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ : আহত-১০
বিশ্বজিৎ রায়, কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: প্রধানমন্ত্রীর সিলেট আগমনকে স্বাগত জানিয়ে ২০ জানুয়ারী বুধবার সন্ধ্যায় কুলাউড়ায় আওয়ামীলীগের দু’গ্রুপ পৃথক মিছিল বের করলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় এক ছাত্রলীগ কর্মী, পথচারিসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এনিয়ে শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ফের সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিলেট আগমনকে স্বাগত জানিয়ে ২০ জানুয়ারী বুধবার সন্ধ্যায় কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক এ কে এম সফি আহমদ সলমানের নেতৃত্বে উপজেলা আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনসমূহ স্টেশন চৌমুহনা থেকে এক মিছিল বের করে। মিছিলটি দক্ষিণবাজার থেকে চৌমুহনায় যাওয়ার সময় অপর গ্রুপ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রেনুর নেতৃত্বে কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের বহিস্কৃত সদস্য ও নব-নির্বাচিত মেয়র শফি আলম ইউনুছকে নিয়ে মিছিল বের করলে তাদের সাথে সংঘর্ষ বাধে। কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রেনু ও আওয়ামীলীগ থেকে বহিস্কৃত নব-নির্বাচিত পৌরমেয়র আলহাজ্ব শফি আলম ইউনুছ নেতৃত্বে শহরে আরেকটি মিছিল বের করে। উভয় পক্ষ মুখোমুখী হলে মুহুর্তে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষুব্ধ হামলাকারীরা শহরের আদিল স্টোর নামক দোকান থেকে ক্রিকেট ব্যাট লুট করে জড়িয়ে পড়ে সংঘর্ষে। শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ। সংঘর্ষকালে বিক্ষুব্ধ হামলাকারীদের হাতে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রেনু লাঞ্চিত হন এবং বেশকয়েকজন আহত হন।
উপজেলা আ‘লীগের সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রেনুর সমর্থকরা জানান, প্রতিপক্ষের মিছিলটি পেছন থেকে তাদের ধাওয়া করে এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে ছাত্রলীগের কর্মী পায়েল ওরফে রুবেস (২৬) সহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক একেএম সফি আহমদ সলমান জানান, আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতাকর্মীদের নিয়ে মিছিল বের করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। বহিস্কৃতকে নিয়ে মিছিল করা এটা প্রধানমন্ত্রীকে ঠাট্রার শামিল। বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা এসময় বহিষ্কৃতদের ধাওয়া করেছে।