সিলেটে ২০১৬সালের হজ্জ প্যাকেজ ঘোষনা
ডেস্ক রিপোর্ট: দুইদফা দাবি সম্বলিত ১৩ দফার হজ্জপ্যাকেজ ঘোষনা করেছে হজ্জ এজেন্সীজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ হাব সিলেট অঞ্চল। মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারী) সিলেট নগরীর জেইলরোড আনন্দ টাওয়ারস্থ হাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের হজ্জযাত্রীদের জন্য হজ্জের এ প্যাকেজ ঘোষানা করা হয়। ঘোষিত প্যাকেজে সিলেট অঞ্চলের হজ্জযাত্রীদের সুবিধার্থে বাংলাদেশ বিমানের সিলেট-জেদ্দা-সিলেট সেক্টরে পর্যাপ্ত ফাইট ও সিলেট আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে হজ্জযাত্রীদের পাসপোর্ট অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রদানের দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ঘোষিত ১৩ দফা হজ্জপ্যাকেজে বলা হয়েছে, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এ বছর ১০ সেপ্টেম্বর মোতাবেক ৯জিলহজ্জ পবিত্র হজ্জ অনুষ্টিত হবে। এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ১লাখ ১৩ হাজার ৮৬৮ জন হজ্জযাত্রী হজ্জ পালন করবেন। এদের মধ্যে সরকারী ব্যবস্থাপনায় ৫হাজার এবং বে-সরকারী ব্যবস্থাপনায় হজ্জ পালন করবেন ১লাখ ৮হাজার ৮৬৮ জন। প্রত্যেক হজ্জযাত্রী মেশিন রিডেবল (এমআরপি) বাংলাদেশী পাসপোর্ট এর মাধ্যমে সৌদী দূতাবাস থেকে ইস্যুকৃত ভিসায় হজ্জে গমন করবেন। কোন বিদেশী পাসপোর্টে হজ্জভিসা ইস্যু করা হবে না। যথা শিগগিরই হজ্জ রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শুরু করা হবে এবং এ বছরের ৩০শে মে’র মধ্যে সরকার নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে হজ্জ রেজিষ্ট্রেশন করে নিতে হবে। এ সময়সীমার (৩০মের) পূর্বে কৌটা পূর্ন হয়ে গেলে রেজিস্ট্রেশনকারীরা ২০১৭ সালে হজ্জে গমনের জন্য অপেক্ষ করতে হবে। হজ্জ রেজিষ্ট্রেশন ফরম হজ্জ এজেন্সি সমুহে পাওয়া যাবে। রেজিষ্ট্রেশন করার পর হজ্জে যেতে অপারগ যাত্রীরা নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে টাকা ফেরত চাইলে রেজিষ্ট্রেশন ফি থেকে সরকার নির্ধারিত ৫হাজার টাকা কর্তনপূর্বক তাদের টাকা ফেরত দেয়া হবে। নির্দিষ্ট সময় অতিক্রম করার পর যদি কেউ যেতে না পারেন,সে ক্ষেত্রে শুধুমাত্র তাদের বিমান ভাড়া ফেরত দেয়া হবে। অন্য কোন টাকা ফেরত পাবেন না। ১৮ উর্ধ বয়সের হজ্জযাত্রীদের রেজিস্ট্রেশনের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক এবং এর কম বয়েসীদের জন্য অভিভাবকদের সাথে রেজিস্ট্রেশনে তাদের জন্মসনদ-এর কপি জমা দেয়া বাধ্যতামূলক।
চলতি ২০১৬ সালে হজ্জযাত্রীদের জন্য বে-সরকারী ব্যবস্থাপনায় হজ্জপ্যাকেজ-এর মূল্য (কোরবাণী ব্যাতিত) ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ৩ লাখ ৬০হাজার ২৮ টাকা ১৮পয়সা এবং ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ৩ লাখ ৪ হাজার ৯০৩ টাকা ১৮পয়সা। বৈদেশিক মূদ্রায় মূল্যমানের তারতম্য হতে পারে । হজ্জের টাকা সরাসরি হজ্জ এজেন্সিতে অথবা এজেন্ট মনোনীত ব্যাংক একাউন্টে জমা করে মানি রিসিট সংগ্রহ বাধ্যতামূলক। এক্ষেত্রে কোন দালাল বা মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছে টাকা জমা থেকে সতর্ক থাকা আবশ্যক। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এজেন্সি সমূহ হজ্জযাত্রীদের নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করবে। তবে হজ্জ প্যাকেজে ঘোষিত টাকা পরিশোধ সাপেক্ষে সরকার থেকে ‘পিলগ্রিম আইডি’ প্রদান করা হবে। আগামী ৩০জুন ২০১৬ ইং তারিখের মধ্যে সম্পূর্ন অর্থ পরিশেধে কেউ ব্যর্থ হলে পিলগ্রিম আইডি পাবেন না এবং ওই যাত্রী এ বছর হজ্জে যেতে পারবেন না। প্রত্যেক হজ্জযাত্রীকে সময়মত পুলিশ কিয়ারেন্স সংগ্রহ করতে হবে। পুলিশ কিয়ারেন্স না পাওয়ার দায়ভার এজেন্সি বহন করবে না। এ ছাড়া প্রত্যেক হজ্জযাত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা সনদ সংগ্রহ করে এজেন্সিতে জমা দিতে হবে। কোন হজ্জযাত্রী হজ্জ পালনকালে দূর্ঘটনা জনিত কারনে মারা গেলে সৌদী সরকারের নিয়ম মোতাবেক তাকে সে দেশেই দাফন করা হবে। মরদেহ ফেরত আনার জন্য এজেন্সিকে চাপ প্রয়োগ করা যাবে না। তবে মরদেহ দাফনে এজেন্সি সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হাব সিলেট অঞ্চল-এর চেয়ারম্যান মনসুর আলী খান। উপস্থিত ছিলেন হাব সিলেট অঞ্চল’র সচিব এম এ হক। অন্যদের মধ্যে ছিলেন আটাবের কেন্দ্রীয় ভাইস প্রেসিডেট আব্দুল কাইয়ুম, হাব সিলেট-এর সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার সিপার আহমেদ, আটাব সিলেট এর সচিব আতিকুর রহমান, আবুল ফজল, মোতাহার হোসেন বাবুল, খাজা মঈন উদ্দিন, জুনায়েদ আলী, আব্দুল কাদির, নজরুল ইসলাম, মাওলানা মাহমূদ শোয়াইব, শাসুল আলম, গিয়াস উদ্দিন, মুদাব্বির হোসেন খান, কামরুজ্জামান বাবুল, কামরুল ইসলাম, হেলাল উদ্দিন, হাফেজ গোলাম রব্বানী, নাসির উদ্দিন, আব্দুল হামিদ, নাজিব বিন মনসুর খান প্রমূখ।