সেই ভয়ঙ্কর জঙ্গি আব্দুল হক এখন সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে
ডেস্ক রিপোর্টঃ সেই ভয়ঙ্কর সাইবার ক্রিমিনাল আব্দুল হক ওরফে আব্দুল হ্যাক ও তার সহযোগীকে আমিনুর রহমানকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার একদিনের রিমান্ড শেষে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ৩য় আদালতের বিচারক মামুনুর রহমান ছিদ্দিকী তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিলেট মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশ পরিদর্শক শিবেন্দ্রচন্দ্র দাশ জানান, আইনমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির মামলায় গত ১১ জানুয়ারি আব্দুল হক ও আমিনুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত তাদের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মন্ত্রী, এমপি, রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী, লেখক-সাংবাদিকসহ দেশের ১৫৩ জন বিশিষ্ট নাগরিককে হত্যার হুমকির অভিযোগে সাইবার জঙ্গি আব্দুল হককে গত বছরের ২৪ নভেম্বর রাজধানীর তেজগাও এলাকা থেকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এতে সারা দেশে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
আব্দুল হক সিলেটের জকিগঞ্জ শাহবাগ জামিয়া কাসিমুল উলুম মাদরাসার কম্পিউটার শিক্ষক ছিলেন। তিনি সুনামগঞ্জের ছাতক থানার ইসলামপুর ইউনিয়নের গাংপাড় নোয়াকোট গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে। ২০১৪ সালের ২৭ জুন আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে স্পুফিং করে অন্যের মোবাইল ফোন নাম্বার ব্যবহার করে তিনি আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে হত্যার হুমকি দেন।
সূত্র জানায়, ২৪ নভেম্বর আব্দুল হক গ্রেফতারের পর দেশের ১৫৩ জন বিশিষ্ট নাগরিককে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার ঘটনায় ঢাকা মহানগর পুলিশের তদন্ত শাখার (ডিবি) পরিদর্শক শাহ মো. আখতারুজ্জামান ইলিয়াস বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে তেজগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় দুই দফায় পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে ২ ডিসেম্বর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন আবদুল হক ও তার সহযোগী আমিনুর রহমান। সেই জবানবন্দীতে দেশের অন্যান্য বিশিষ্ট নাগরিকদের হুমকির পাশাপাশি আইনমন্ত্রী আনিসুল হককেও হত্যার হুমকির কথা স্বীকার করেন আব্দুল হক। ১১ জানুয়ারি আব্দুল হক ও আমিনুর রহমানকে আইনমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে তাদের তিন দিনের রিমান্ড আবেদন করেন সিলেট মহানগর ডিবির ইনসপেক্টর শিবেন্দ্রচন্দ্র দাশ। শুনানি শেষে আদালত তাদের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শিবেন্দ্রচন্দ্র দাশ জানান, জিজ্ঞাসাবাদে আসামীরা গত কয়েক বছরে অর্থমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রীসহ দেশের ১৫৩ জন বিশিষ্ট নাগরিককে হত্যার হুমকির কথা স্বীকার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা যেসব তথ্য দিয়েছে, তা আরো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।