মাটিতেই বসে পড়লেন প্রধানমন্ত্রী
ডেস্ক রিপোর্টঃ নিজের সরকারি বাড়ি গণভবনে অনেককেই চায়ের দাওয়াত দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অতিথিদের মধ্যে ছিলেন শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতি ব্যক্তিত্ব, গণমাধ্যমকর্মী, আইনজীবী, রাজনীতিক ও অধ্যাপকরা।
সোমবার বিকেলে অতিথিরা তার বাসায় গেলে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সাড়ে ৪টার দিকে গণভবনের লনে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সবাইকে নিয়ে খোলা মাঠে মাদুর পেতেই বসে পড়েন তিনি। তাকে ঘিরে ছিলেন নারীরা। প্রায় সোয়া একঘণ্টা সবার সঙ্গে আড্ডায় মাতেন তিনি। সবাইকে আপ্যায়িত করা হয় শীতের পিঠা-পুলি দিয়ে।
পাশেই নির্মিত মঞ্চে চলছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আড্ডার পাশাপাশি অনেকেই উপভোগ করেন গান আর আবৃত্তি। কিন্তু সবকিছুইকে ম্লান করে দেয় প্রধানমন্ত্রীর আড্ডা।
এসময় প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন তার ছোট বোন শেখ রেহানা, মেয়ে সায়মা হোসেন পুতুল, রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক। তারাও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মাদুরে বসেন।
বিশিষ্টজনদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক, মহাসচিব অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামাল, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন অর রশীদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মীজানুর রহমান প্রমুখ।
সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান, জনকণ্ঠ সম্পাদক আতিকুল্লাহ খান মাসুদ, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী, একাত্তর টিভির মোজাম্মেল বাবু, নবনিতা চৌধুরী, এটিএন বাংলার জ ই মামুন, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল বাসেত মজুমদার, ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম।
সংস্কৃতি ব্যক্তিত্বের মধ্যে ছিলেন মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, অভিনেতা আলী যাকের, পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, চঞ্চল চৌধুরী প্রমুখ। বিশিষ্ট নাগরিকদের নিয়ে চা চক্র ও পিঠা উৎসবে ছিল নানা ধরনের পিঠা-পুলি, কাবাব, পরটা, নানসহ আরো অনেক কিছু।
আর সেই আড্ডা চলে মাগরিবের আজান পর্যন্ত। মাগরিবের নামাজ শেষে প্রধানমন্ত্রী প্রায় দেড় ঘণ্টা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সঙ্গে তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানেই রাতের খাবারও খাবেন তারা।