জুড়ীতে জাল দলিলের মাধ্যমে পৈত্রিক সম্পত্তি আত্মসাত
বিশ্বজিৎ রায়, কমলগঞ্জ প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের জুড়ীতে জাল দলিল চক্রের সহযোগিতায় পৈত্রিক সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগে জুড়ী উপজেলা প্রেসকাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তিন সহোদর বোন। ১৬ জানুয়ারী শনিবার সন্ধ্যা ৭ টায় জুড়ী উপজেলা প্রেসকাবে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে উপজেলার বড় ধামাই গ্রামের মৃত আপ্তাব আলীর তিন কন্যা কমলা বেগম, মনরা বেগম ও প্রিয়ারা বেগম সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেন, জাল দলিল চক্রের সদস্য বদরুল হোসেনের সহযোগিতায় তাদের সহোদর ভাই মাসুক মিয়া দলিল লেখক মাহবুবুর আলম (সনদ নং ৩) কে দিয়ে একটি জাল দলিল (নং ১১৭/১৫ ইং) তৈরি করে বড় ধামাই মৌজার জে,এল, নং ১৪৩ খতিয়ান এসএ ২৮২ নতুন খতিয়ান ২৩২, ২৩৩, ২৩৫, দাগ নং এসএ ৪৯৮ আরএস ২৫২, শ্রেনি চারা ২ শতক ৩৬ পয়েন্ট, এসএ দাগ ৫০৪ নতুন দাগ ২৫৩ শ্রেনি সাবেক টিলা বাড়ী বর্তমানে বাড়ী জমির পরিমান ৩ শতক ৪৫ পয়েন্ট, এসএ দাগ ৫০৩ নতুন দাগ ২৫৪ চারা ৩৬ পয়েন্ট, এসএ দাগ ৫০২ নতুন দাগ ২৪৫ সাইল ৩৬ পয়েন্ট, এসএ দাগ ০২ নতুন দাগ ২৪৬ সাইল ৫ শতক ৫২ পয়েন্ট, এসএ দাগ ৫০১ নতুন দাগ ২৪৯ সাইল ১শতক ৮২ পয়েন্ট, এসএ দাগ ৫০০ নতুন দাগ ২৫০ পুকুর ১শতক ৪১ পয়েন্ট, এস এ দাগ ৪৯৯ নতুন দাগ ২৫১ সাইল ৭২ পয়েন্টসহ মোট ১৬ শতক ভূমি
জুড়ী সাবরেজিষ্টারের মাধ্যমে দলিলাত করে নেয়। সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্য দিতে গিয়ে তিন বোন কান্নায় জরিত কষ্ঠে বলেন, তাদের পিতার মৃত্যুর পর পিতার রেখে যাওয়া সম্পত্তি ভাই মাসুক মিয়া দেখা শুনা করতেন। তাদের অজান্তে পশ্চিম বড় ধামাই গ্রামের আত্তর আলীর পুত্র বদরুল ইসলামের যোগসাজসে দলিল লেখক মাহবুবুল আলম কে দিয়ে একটি জাল দলিল তৈরি করে তাদের তিন বোনের সই স্বাক্ষর জাল করে মাসুক মিয়ার নামে দলিল করে নেয়। মৃত আপ্তাব আলী ১ ছেলে ও ৪ মেয়ে রেখে যান। তারা হলেন মাসুক মিয়া, চন্দ্র বেগম, কমলা বেগম, মনরা বেগম ও পিয়ারা বেগম। দলিল পর্যালোচানা করে দেখা যায়, দাতা হিসেবে মৃত আপ্তাব আলীর এক কন্যার নাম মরিয়ম বেগম উল্লেখ করা হয়েছে। সংবাদ সংম্মেলনে তারা তিন বোন অভিযোগ করে বলেন, মরিয়ম বেগম নামে কোন বোন তাদের নাই। এতেই প্রমানিত হয় যে, দলিল সম্পূর্ণ জাল। জমি জবর-দখল ও গাছ কাটার অভিযোগে মাসুক মিয়ার স্ত্রী শেলী বেগম ও পুত্র জাহাঙ্গির মিয়ার বিরুদ্ধে বড় ধামাই গ্রামের আজিম উদ্দিন বাদী হয়ে জুড়ী থানায় মামলা (নং ০২ তাং ০৭-০১-১৬ ইং) দায়ের করলে পুলিশ শেলী বেগম ও জাহাঙ্গির মিয়াকে গ্রেফতার করে মৌলভীবাজার জেলা হাজতে প্রেরণ করে। বর্তমানে তারা কারাভোগ করছে। এ বিষয়ে দলিল লেখক মাহবুবুল আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দলিলের বিষয়টি বদরুল ভাই জানেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দলিল লেখক মাহবুবুল আলমের উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে বেশ কয়েকজন সদস্য রয়েছে। তাদের সহযোগিতায় জাল দলিল তৈরি করে সে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। ইতিপূর্বে জাল দলিল তৈরির অভিযোগে দলিল লেখক মাহবুবুল আলমের বিরুদ্ধে মৌলভীবাজার যুগ্ম জেলা জজ দ্বিতীয় আদালতে (মোকদ্দমা নং ৬০/২০১৫ ইং) (স্বত্ব) বিচারাধীন আছে।