মৌলভীবাজারে একটি দোকানঘরের মালিকানা নিয়ে মামলা পালটা মামলা

কথামত না লিখলে সাংবাদিককে দেখে নেবার হুমকি

মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার কদমহাটা বাজারে একটি দোকানঘর উচ্ছেদ ও লুটপাট ঘটনাটি নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে নানা রহস্যের। এ ঘঠনায় এলাকায় দেখা দিয়েছে চরম উত্তেজনা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছেন এলাকাবাসী। একই দোকান ২ ব্যাক্তি মালিকানা দাবী করে উচ্ছেদ ও লুটপাটের এ ঘটনায় পাল্টাপাল্টি দুটি মামলা হয়েছে রাজনগর থানায়। মামলার বিবরণে নিজেরা উক্ত দোকানঘরের ভ’মির মালিকানা দাবী করেছেন উভয় পক্ষই। অনধিকার প্রবেশ পূর্বক ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার মালামাল চুরি, ৭০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন ও হুমকী দেয়ার অভিযোগে (১) আলাউদ্দিন (২) ছইফ উদ্দিন (৩) আসিক মিয়াসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনকে আসামী করে প্রথম মামলাটি (নং- ১৬, জিআর ২২৯, তারিখ- ২৬/০৯/২০১৪ইং) দায়ের করেন হাসানপুর গ্রামের মৃতঃ পংকি মিয়ার পুত্র মোঃ বিলাল আহমদ এবং অনধিকার প্রবেশ পূর্বক মারপিট করে সাধারণ জখম করতঃ ৯০ হাজার টাকার মালামাল চুরি, ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন ও হুমকী দেয়ার অভিযোগে (১) মতিন মিয়া (২) মোঃ বিলাল মিয়াসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনকে আসামী করে দ্বিতীয় মামলাটি (নং- ১৭, জিআর ২৩০, তারিখ- ২৭/০৯/২০১৪ইং) দায়ের করেন সরখরনগর গ্রামের মৃতঃ হাজী সোনাহর আলীর পুত্র মোঃ আলাউদ্দিন। উভয় মামলার বাদীই পাল্টাপাল্টি উভয় মামলার আসামী এবং একই দোকানঘর ও ভ’মির মালিকানা দাবী করেছেন উভয় পক্ষই। এতে করে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে- প্রকৃতপক্ষে উচ্ছেদ ও লুটপাটকারী কে বা কারা ? দোকানঘরটির ভ’মির প্রকৃত মালিক কে ? প্রকৃতপক্ষে দোকানঘরটিতে কোন মালামাল ছিল কি-না ? সরেজমিন কদমহাটা বাজারে অনুসন্ধান করে ঘটনার কোন প্রত্যক্ষদর্শি পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছে ঘটনাটি সম্পর্কে জানতে চাইলে অধিকাংশ ব্যবসায়ীই জানান “দোকানঘরটি ভেঙ্গে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে শুনেছি কিন্তু নিজ চোখে দেখিনি এবং কে বা কারা এটা করেছে তা জানিনা। বিলাল বলছে আলাউদ্দিন করেছে এবং আলাউদ্দিন বলছে বিলাল করেছে। দোকানঘরটি পরিত্যাক্ত অবস্থায় ছিল দীর্ঘদিন যাবৎ। মালামাল ছিল কি-না তা সঠিকভাবে জানিনা। দোকানঘরটির ভ’মির মালিক আলাউদ্দিন বলেই জানি। তবে, প্রকৃতপক্ষে মালিক বিলাল না আলাউদ্দিন তা সঠিকভাবে জানিনা। আলাউদ্দিনের সাথে দেখা করে জানতে চাইলে তিনি বিলালকে তার ঘরের ভাড়াটিয়া বলে দাবী করে ঘটনার বিবরণ দেন এবং ভুমির মালিকানার দলিল-পরচা ও ইউপি ট্যাক্সের কাগজ প্রদর্শন এবং ফটোকপি সরবরাহ পূর্বক মালিকানার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। বিলালের সাথে দেখা করতে না পেরে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি নতুন একটি পত্রিকার নাম বলে সেই পত্রিকায় যা লিখা হয়েছে তা লিখতে বলেন। ভ’মির মালিকানার কাগজাত কি আছে এবং তা দেখাতে বললে তিনি তাতে কাগজাত দেখাতে ব্যর্থ হয়ে হুমকি দিয়ে বলেন ঐ পত্রিকায় যা লিখা হয়েছে তা না লেখলে এলাকাবাসী আপনাদেও ছাড়বেনা। এসব নানা কারণে ক্রমশঃ ঘটনাটি রহস্যজনক হয়ে উঠছে। তাই, তদন্ত শেষে সময়ই জানিয়ে দেবে প্রকৃত তথ্য।