বালিকা বিদ্যালয়গুলোর দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে সরকার : শিক্ষামন্ত্রী
ডেস্ক রিপোর্টঃ নারীদের বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য নারী শিক্ষা বিস্তারে সরকার খুবই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
তিনি বলেন, একজন মা শিক্ষিত হলে জাতি শিক্ষিত হবে। তাই নারী শিক্ষার প্রসার ঘটাতে সরকার বালিকা বিদ্যালয়গুলোর দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে।
সোমবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে নগরীর নয়াসড়ক কিশোরী মোহন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের আট শিক্ষকের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বছরের শুরুতে বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেয়া এবং সারা দেশে প্রায় ৩৪ কোটি পাঠ্যপুস্তক বিতরণ বর্তমান সরকারের অন্যতম একটি সাফল্য।
জাতির উন্নয়নে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর শিক্ষা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করছে মনে করেন তিনি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ভিশন ২০২১’ বাস্তবায়নে সকলের প্রতি সহযোগিতার আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী।
বিদায়ী শিক্ষক/শিক্ষিকাদের উদ্দেশ্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে আপনারা যে অবদান রেখেছেন, তা জাতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নগরীর নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়েরা পড়ালেখা করে যে মেধার স্বাক্ষর রেখে চলেছে তার জন্য তিনি শিক্ষক/শিক্ষিকাসহ পরিচালনার কমিটির নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানিয়ে উন্নয়নে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
কিশোরী মোহন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট দেওয়ান গোলাম রব্বানী চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ পিপি, সাবেক সংসদ সদস্য জৈয়দা জেবুন্নেছা হক, সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. জয়নাল আবেদীন, সিলেট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এ.কে.এম গোলাম কিবরিয়া তাফাদার, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সিলেট অঞ্চলের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর কবির আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, জেলা শিক্ষা অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম।
সিনিয়র শিক্ষিকা কামরুন নাহার শফিক ও আনোয়ারা বেগমের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রধান শিক্ষক গৌর ঘোষ।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট আব্বাস উদ্দিন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য আহমেদ হান্নান, আব্দুল হান্নান খান আনোয়ার, আনোয়ার হোসেন, কৃষ্ণপদ দে, নাজেহা পারভীন, যামিনী সাংমা প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে চাকরি থেকে অবসর নেওয়া শিক্ষক/শিক্ষিকা মঞ্জুলা চক্রবর্ত্তী, রত্মা চক্রবর্ত্তী, বিলকিস বেগম, সৈয়দা কলব আফরোজ খানম, সুদক্ষিণা ভট্টাচার্য, শক্তিপদ দত্ত, রমেশ চন্দ্র আদিত্য ও সঞ্চিতা দে’র হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন প্রধান অতিথি।