ফাঁসি বহালে ইমরানদের উল্লাস

130697_1-1ডেস্ক রিপোর্টঃ একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ আপিল বিভাগ বহাল রাখায় উল্লাস প্রকাশ করেছে সরকার সমর্থক গণজাগরণ মঞ্চ। বুধবার সকালে রায় ঘোষণার খবর আসার পর শাহবাগে অবস্থান করা মঞ্চের নেতাকর্মীরা চিৎকার করে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
এর আগে নিজামীর রায় ঘিরে সকাল আটটা থেকে শাহবাগে জড়ো হন গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা। বেলা নয়টা পর্যন্ত সেখানে মঞ্চের একাংশের মুখপাত্র ও রংপুর মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ডা. ইমরান এইচ সরকারসহ ১০ জন অবস্থান নেন।
রায়ের খবর আসার পর এই সংখ্যা গিয়ে জনা ত্রিশেকে ঠেকে। আশপাশে বেশ কিছু উৎসুক দর্শকও দেখা গেছে। এ সময় মঞ্চের কর্মীরা দুই আঙুল উঁচিয়ে বিজয়সূচক ‘ভি’ চিহ্ন দেখিয়ে বিজয় উদযাপন করে ও বিভিন্ন স্লোগান দেন।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে ডা. ইমরান এইচ সরকার বলেন, ‘মতিউর রহমান নিজামী শুধু একজন যুদ্ধাপরাধী নন, রাষ্ট্রদ্রোহীও। কারণ, স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক হওয়ার পরও বাংলাদেশের বিরোধিতা করে কাজ করেছে। বাংলাদেশকে পুনরায় পাকিস্তান বানানোর চেষ্টা করেছে।’
তিনি বলেন, ‘এখন আমরা সরকারকে বলতে চাই- শুধু নিজামী নয়, পাকিস্তানি যে ১৯৫ যুদ্ধাপরাধী আছে তাদেরও বিচার করতে হবে।’
পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের কূটনীতিক মৌসুমী রহমানকে দেশে ফেরত পাঠানোকে পাকিস্তানের ধৃষ্টতা বলেও মন্তব্য করেন ছাত্রলীগের সাবেক এই নেতা। ইমরান এইচ সরকার বলেন, ‘এই ধৃষ্টতামূলক কাজের প্রতিবাদ জানাতে হবে। আমি সরকারের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি- আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানি কূটনীতিকদের পিআইএর ফ্লাইটে পাকিস্তানে ফেরত পাঠিয়ে তাদের ধৃষ্টতার জবাব দিতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘যারা পাকিস্তানি ভাবধারার রাজনীতিবিদ। এদেশে মন্ত্রী-এমপি হয়ে নিজামীর গাড়িতে পতাকা তুলে দিয়েছিল, আজকের রায় তাদের জন্য দারুণ চপেটাঘাত বলে আমরা মনে করি।’
অবিলম্বে রায় কার্যকরের দাবি জানান ইমরান। বলেন, রায় সারাদেশের মানুষের মধ্যে সন্তোষ ফিরিয়ে এনেছে। এর আগে বুধবার সকাল নয়টার কিছু পরে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ নিজামীকে ট্রাইব্যুনালের দেয়া ফাঁসির দণ্ডাদেশ বহাল রাখে। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।