কাজির বাজার গরুর হাটকে ফিরিয়ে আনতে আইনী লড়াইয়ে যাচ্ছে সিসিক

Sylhet City Corpডেস্ক রিপোর্টঃ এবার সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকায় সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব মালিকানাধীন ২টি গরুর হাট স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন। এছাড়াও কাজিরবাজারে সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব গরুর হাটটিও আইনী পদক্ষেপের মাধ্যমে সিটি কর্পোরেশনের আওতায় নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে অনুষ্ঠিত সিটি কর্পোরেশনের সাধারণ সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ৯ নং ওয়ার্ডের সম্মানিত কাউন্সিলর মখলিছুর রহমান কামরান সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডের সম্মানিত কাউন্সিলরবৃন্দ এবং উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীবের পরিচালনায় সভায় সিটি কর্পোরেশনের সম্মানিত কাউন্সিলরবৃন্দ নগরবাসীর স্বার্থে বিভিন্ন উদ্যোগ এবং কর্মপরিকল্পনা গ্রহনের আহবান জানিয়ে বক্তব্য রাখেন।
জনগুরুত্ব বিবেচনা করে সভায় বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত সর্বসম্মাতিক্রমে গ্রহন করা হয়। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী আলী আমজদের ঘড়িটি পুনরায় টেন্ডার আহবান করে চালুর ব্যবস্থা করা, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের মাধ্যমে সিটি কর্পোরেশনের সকল নাগরিকসেবা অনলাইনে প্রদানের ব্যবস্থা করা এবং সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব সার্ভার স্টেশন স্থাপন ও বর্তমান ওয়েবসাইটকে আরও আধুনিক করা।
বর্ষা মৌসুমে যাতে জলাবদ্ধতা না হয় সেজন্য বর্ষা মৌসুমের আগেই সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন ড্রেন-নালা ও ছড়া পরিস্কারের লক্ষ্যে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়ন, নগরীর মধ্যে বিভিন্ন ওয়ার্ডের রাস্তার সংস্কারকাজ চলমান রাখা, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব সম্পত্তিসমূহ সংরক্ষন, কাজিটুলা দিঘীসহ সকল দিঘী সংরক্ষন এবং সৌন্দর্যবর্ধনের উদ্যোগ গ্রহন করা।
এছাড়াও যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ড্রেনেজ সিস্টেমে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে স্ল্যাব নির্মাণ করেছে তা অবিলম্বে উচ্ছেদ করা, হোটেল-রেস্টুরেন্ট, কমিউনিটি সেন্টার থেকে বর্জ্য অপসারণ ফি আদায়ের সিদ্ধান্তও সভায় গ্রহন করা হয়। পানির অবৈধ সংযোগ স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে এবং ট্রেড লাইসেন্স বিহীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এবং নগরীর অবৈধ বিলবোর্ড, ব্যানার ফেস্টুন অপসারণ করার অভিযানও অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয় সভায়।
এছাড়াও উপশহরের শাহজালাল সেতুকে আলোকোজ্জল করার লক্ষ্যে লাইট স্থাপন করার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে।