অবাধ কারচুপি-সংঘাত-সহিংসতা, ভোট গ্রহণ শেষ
ডেস্ক রিপোর্টঃ সিল উৎসব শুরু হয়েছিল আগের রাতেই। সকালে প্রথম খবর আসে মাদারিপুরের কালকিনি থেকে। নৌকায় সিলমারা ১১ শ’ ব্যালট পাওয়া যায় সেখানে। বেশি অপেক্ষার প্রয়োজন হয় না। এরপরই খবর পাওয়া যায় কুমিল্লার বরুড়া থেকে। সেখানেও রাতেই ১২শ’ ব্যালটে সিলামারা হয়। সকাল ৮টায় শুরু হয় ভোট। প্রথম দুই ঘন্টাতেই মোটামুটি স্পষ্ট হয়ে যায় সারাদেশের ভোটের চিত্র। আগের রাতের তীব্র অভিযানে বিরোধী এজেন্টরা পালিয়ে যান অনেকে। বাদ বাকী যারা কেন্দ্র্রে যান তাদের বেশিরভাগই টিকতে পারেন নি। অন্তত অর্ধেকের বেশি কেন্দ্রে খোঁজ মিলেনি বিএনপির এজেন্টদের। কম বেশি সংঘাত সহিংসতা ঘটেছে সব এলাকাতেই। সাতকানিয়ায় গুলিতে নিহত হয়েছেন এক জন। বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন শতাধিক। কমপক্ষে ৩০ মেয়র প্রার্থী ভোট বর্জন করেছেন।
বেশিরভাগ সংঘর্ষই হয়েছে আওয়ামী লীগের সঙ্গে দলটির বিদ্রোহী প্রার্থীদের। কাউন্সিলর প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যেও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তবে অনেক এলাকাতে ভোট কারচুপি হয়েছে বাধাহীনভাবে। টিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে অবাধে সিলমারার দৃশ্য। এমনকি কোথাও কোথাও খোদ পুলিশের বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠেছে ব্যালটে সিলমারার। জালভোট ছিল মোটামুটি স্বাভাবিক দৃশ্য। এমনও একজন ভোটার পাওয়া গেছে, যিনি লাইনে দাঁড়ালেও নিজের বাবার নাম বলতে পারছিলেন না। তিনি বলেন, তার বাবার নাম খাতায় লেখা আছে।
দিনভর ভোট কারচুপি। ব্যালট সিলমারা। সংঘাত-সহিংতা। ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে বিকাল ৪টায়। বিএনপির পক্ষ থেকে ১৫৭ টি পৌরসভায় পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে। অন্যদিকে, বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ বলেছে, নির্বাচন ছিল, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ।