রিভিউয়ের মুজাহিদের ফাঁসি বহাল

Mujahidসুরমা টাইমস ডেস্কঃ রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আপিল বিভাগ। ফলে স্বাধীনতার ৪৪ বছর পরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সর্বোচ্চ আদালতে জামায়াতে ইসলামীর তৃতীয় শীর্ষ নেতা হিসেবে আলী আহসান মুজাহিদের ফাঁসির রায় বহাল থাকল। এর আগে ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লা ও ২০১৫ সালের ১১ এপ্রিল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের একই অপরাধে ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ মুজাহিদের আবেদন খারিজের আদেশ দেয়। এই বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রিভিউ আবেদনের ওপর মুজাহিদের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন এবং বিপক্ষে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যার্টনি জেনারেল মাহবুবে আলম যুক্তিতর্ক তুলে ধরেন। শুনানি গ্রহণ করে আপিল বিভাগ আজ রায়ের দিন ধার্য করে আদেশ দেয়।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর মুজাহিদ ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মানবতাবিরোধী মামলার চূড়ান্ত রায় প্রকাশ করে। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর নিয়ম অনুযায়ী ১৫ দিনের মধ্যে রিভিউ আবেদন করতে হয়। সে অনুযায়ী সময় শেষ হয়ে যাওয়ার একদিন আগেই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করা হয়। এরপর গত ১৫ অক্টোবর রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল রিভিউ শুনানির দিন নির্ধারণের জন্য আপিল বিভাগে আবেদন করেন। চেম্বার আদালত সেটি ২ নভেম্বর শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেয়। নির্ধারিত দিনে আপিল বিভাগ ১৭ নভেম্বর শুনানির দিন ধার্য করে।
২০১৫ সালের ১৬ জুন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখে। বেঞ্চের অন্য বিচারপতিরা হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।এর আগে ২০১৩ সালের ১১ আগস্ট আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ খালাস চেয়ে আপিল করেন।
২০১৩ সালের ১৭ জুলাই বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ মুজাহিদকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করে। ২০১০ সালের ২৯ জুন আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২০১১ সালের ১১ ডিসেম্বর ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। ২০১২ সালের ২৬ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল।