এবার ঢাকা মেডিকেলে ডাক্তারের হাতে রোগীর শ্লীলতাহানী!
ডেস্ক রিপোর্টঃ রাজধানীর গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে এক নারী রোগীর শ্লীলতাহানীর ঘটনার পর এবার সরকারি হাসপাতাল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরেক রোগীর শ্লীলতাহানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার রাতে হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের অপারেশন থিয়েটারে (ওটি) একাধিক চিকিৎসক ১৭ বছর বয়সের এক তরুণীকে যৌন হয়রানী করেন। অস্ত্রপচারের আগেই মেয়েটি চিকিৎসকদের এমন আচরণে ক্ষুব্দ হয়ে ওটি থেকে বেরিয়ে যায়।
এরপর মেয়েটির স্বজনরা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ জানায়। তবে মঙ্গলবার মধ্যরাত পর্যন্ত অভিযুক্ত চিকিৎসকদের পরিচয় জানা যায়নি এবং ঘটনার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্যও পাওয়া যায়নি।
মেয়েটির স্বজনরা জানায়, রাজধানীর লালবাগ এলাকায় তাদের বাড়ি। রামপুর বনশ্রীর ২০ নম্বর সড়কের একটি বাড়িত তারা থাকেন। মেয়েটি রামপুরার ভিক্টোরিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজে দশম শ্রেণিতে পড়ে। মঙ্গলবার সকালে হঠাৎ তার তলপেটে ব্যাথা অনুভূত হয়। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসকরা জানান, অপেন্ডিসাইটিসের ব্যাথা হচ্ছে। অস্ত্রপচার করতে হবে।
সে অনুযায়ী রাত সাড়ে ১০টার দিকে মেয়েটিকে সার্জারি বিভাগের অধীনে চতুর্থ তলার ওটিতে নেয়া হয়। মেয়েটি তার স্বজনদের জানায়, ওটিতে শোয়ানোর পর তাকে অচেতন করার কাজ শুরু হয়। এরই মধ্যে একাধিক ইন্টার্নি ডাক্তার এবং নার্স (ব্রাদার) তার বুকে হাত দেয়। এতে চরম অসস্তির মধ্যে পড়ে মেয়েটি। এক পর্যায় সে অস্ত্রপচারের শয্যা থেকে লাফিয়ে উঠে বাইরে চলে আসে। পরে স্বজনদের কাছে অভিযোগ করে।
হাসপাতালের আনসার কমান্ডার (পিসি) মো. মাসুদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘খবর শুনে আমরা পরিস্থিতি শান্ত করেছি। মেয়েটির অভিভাবকদের বলেছি- অভিযোগ থাকলে হাসপাতালের পরিচালককে লিখিতভাবে জানাতে।’
রাত সোয়া ১২টার দিকে হাসপাতাল ছাড়ার আগে মেয়েটির স্বজনরা জানায়, তারা আজ বুধবার এসে অভিযোগ জানাবে।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ নভেম্বর গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) এক নারী রোগীকে একই কায়দায় যৌন হয়রানি করে সেখানকার নার্স (ব্রাদার) সাইফুল ইসলাম। ঘটনা জানাজানির পর তোলপাড় হলে গত শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) সাইফুলকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।