ভিজিডি কার্ড দেবার প্রলোভনে পরস্ত্রীর নগ্ন ভিডিও ধারন করল কাউন্সিলর , অতঃপর..

ছবি : প্রতিকী
ছবি : প্রতিকী

ডেস্ক রিপোর্টঃ ভিজিডি কার্ড দেওয়ার কথা বলে হতদরিদ্র এক নারীর সম্ভ্রমহানি, অতঃপর আপত্তিকর ভিডিও তুলে ছড়িয়ে দেওয়া- এমনই অভিযোগ উঠেছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাধুহাটী ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাদিউজ্জামান সাজুর বিরুদ্ধে। লম্পট সাজু মেম্বর ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোতাহাটী গ্রামের আলী কদরের ছেলে। ঘটনার পর থেকে সে পলাতক রয়েছে।
৬০ মিনিটের এই নগ্ন ভিডিও চিত্রটি এখন ডাকবাংলা, দশমাইল ও সাধুহাটী এলাকার যুব সমাজের মোবাইলে ছড়িয়ে পড়েছে।
ডাকবাংলা পুলিশ ক্যাম্পের তদন্ত কর্মকর্তা বদিউর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, লম্পট সাজু মেম্বরকে আটক করার জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে। আমি প্রতারিত নারীর স্বামীকে সদর থানায় মামলা দায়ের করার পরামর্শ দিয়েছি। কিন্তু তিনি এখনো কোন মামলা করেননি।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাধুহাটী মোড়ের এক দোকানদারের স্ত্রীকে ভিজিডির কার্ড করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সাজু মেম্বর তার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে। এরপর সুযোগ বুঝে ওই নারীর নগ্ন ভিডিও চিত্র মোবাইলে ধারণ করে। সেই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তিন সন্তানের জননী ওই নারীকে সাজু মেম্বর তার লালসার শিকারে পরিণত করে। এক পর্যায়ে ওই নারী প্রতিবাদ করলে ভিডিও চিত্রটি সাজু মেম্বর ডাকবাংলা বাজারে কম্পিউটারের দোকানে ছড়িয়ে দেয়। নারীর নগ্ন ভিডিও চিত্রটি মোবাইলে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ওই নারীকেও এ ঘটনার পর থেকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাধুহাটী ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কাজী নাজির উদ্দীন বলেন, ইউপি মেম্বর হাদিউজ্জামান সাজুকে পরিষদের সমস্ত কর্মকাণ্ড থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এভাবে একটি মেয়ের ক্ষতি করা জঘণ্য অপরাধ। এর জন্য তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিৎ।