২৩নং ওয়ার্ড যুব কল্যাণ পরিষদ ও এলাকাবাসীর প্রতিবাদ সভা
মাছিমপুরে স্থাপিত এম এ মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্সের বিভ্রান্তিকর ঠিকানা প্রচারের তীব্র প্রতিবাদ
সিলেট সিটি করপোরেশনের ২৩নং ওয়ার্ড যুব কল্যাণ পরিষদ ও মাছিমপুর এলাকাবাসীর উদ্যোগে মাছিমপুরে স্থাপিত এম এ মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্সের ঠিকানা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর প্রতিবাদে এক সভা মাছিমপুরের প্রবীণ সমাজসেবী আবদুল কাইয়ুমের বাসভবনে অনুষ্টিত হয়। এলাকার প্রবীণ মুরব্বী মো. ছমির উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও ২৩নং ওয়ার্ড যুব কল্যাণ পরিষদের আহ্বায়ক নাজির আহমদ রাজনের পরিচালনায় এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রবীণ সমাজসেবী মাহমুদ আলী। প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, নগরীর মাছিমপুর কয়েদির মাঠে কিছু দিন পূর্বে স্থাপিত হয় এম এ মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্স। এই কমপ্লেক্সটির উদ্বোধনী দিনে বিভ্রান্তি মূলক ঠিকানা প্রচার করায় বিক্ষুব্ধ মাছিমপুর এলাকাবাসী ক্রীড়া কমপ্লেক্সের উদ্বোধণী অনুষ্ঠানে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানে সে সময় এলাকাবাসীকে বলা হয় ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাছিমপুর এলাকায় স্থাপিত হয়েছে। এর ঠিকানা হবে মাছিমপুর এম এ মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্স। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অর্থমন্ত্রী এম এ মুহিতও সঠিক ঠিকানা মাছিমপুর লিখা হবে বলেও এলাকাবাসীকে আশস্ত করেছিলেন। কিন্তু রহস্যজনক কারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ক্রীড়া কমপ্লেক্সের প্রকৃত ঠিকানা মাছিমপুরকে গোপনে রেখে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছেন। যে কারণে মাছিমপুরের ক্রীড়া কমপ্লেক্সের ঠিকানা কখনো উপশহর, কখনো মেন্দিবাগ আবার কখনো বিশ্বরোড ও শাহজালাল ব্রীজ রোড ইত্যাদি নামে লোকজন অভিহিত করছেন। এতে জনসাধারণের মধ্যে ক্রীড়া কমপ্লেক্সের ঠিকানা সম্পর্কে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। শুধু তাই নয় মহান বিজয় দিবসে জেলা প্রশাসন আয়োজিত কুচকাওয়াজ ও সালামগ্রহণ অনুষ্ঠানটি এসসিএস টিভি কর্তৃক সম্প্রচার করা হয়। কিন্তু এসসিএস কর্তৃপক্ষ মেন্দিবাগ উপশহর এম এ মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্স থেকে সম্প্রচার করা হচ্ছে বলে ঢালাওভাবে প্রচার করেন। সিলেট শহরের এসসিএস কর্তৃপক্ষ নিজেরাই জানেন না নগরীর কোন এলাকার নাম কি? সভায় বক্তারা এসসিএসের ভূল প্রচারণার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। বক্তারা বলেন দলিলপত্র অনুযায়ী ল কলেজ ও গার্ডেন টাওয়ারও মাছিমপুর এলাকার অন্তর্ভূক্ত। কিন্তু কিছু নির্বোধ ব্যাক্তি ঠিকানা নিয়ে মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। সভায় বক্তারা অবিলম্বে এম এ মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্সের প্রকৃত ঠিকানা সাইনবোর্ডে উল্লেখ করার দাবি জানান। অন্যথায় আগামীতে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচীর ডাক দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে সিলেটের জেলা প্রশাসক ও সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহি উদ্দিন আহমদ সেলিমের কাছে স্মারকলিপি প্রদানেরও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এদিকে এক বিবৃতিতে মাছিমপুর পঞ্চায়েত কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ও জামে মসজিদের মোতায়াল্লী সিলেটের স্বনামধন্য ব্যবসায়ী মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, বাস্তবতাকে বাদ দিয়ে সৃষ্টিশীল ও সুন্দর কোন কিছু আশা করা যায় না। মাছিমপুর এলাকার ভেতরে ক্রীড়া কমপ্লেক্স স্থাপন করেও এর ঠিকানা নিয়ে লুকোচুরি করা হচ্ছে। তা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তিনি বিভ্রান্তি রোধে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষে কাছে অনুরোধ জানান। প্রতিবাদ সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দৈনিক শ্যামল সিলেটের বার্তা সম্পাদক ও সোনালী স্বপ্ন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক আবুল মোহাম্মদ, মাছিমপুর এলাকার মুরব্বী মাসুক মিয়া, মো. সুনু মিয়া, মাছিমপুর পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক হোসেন আহমদ, ব্যাংকার আনোয়ার হোসেন, মন্টু মিয়া, ২৩নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল সোহাগ, ২৩নং ওয়ার্ড শ্রমিকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেদ আহমদ, বঙ্গবন্ধু প্রজন্মলীগ ২৩নং ওয়ার্ড শাখার আহ্বায়ক সাদিকুর রহমান,তরুণ সমাজকর্মী তাজ উদ্দিন আহমদ মুন্না, মকবুল মিয়া, ২৩নং ওয়ার্ড যুব কল্যাণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহিম, সায়েম আহমদ, অনিক আল ইসলাম, মো. লায়েক আহমদ, নাসিম আহমদ, নাঈম আহমদ ও শিশির আহমদ প্রমুখ।