জুড়ীতে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে যুবককে নিয়ে দালাল নিখোঁজ
ডেস্ক রিপোর্টঃ মৌলভীবাজার জেলার জুড়ীতে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে আব্দুল আহাদ (১৯) নামে এক যুবককে নিয়ে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে নিখোঁজ রয়েছেন দালাল চান্দ আলী (৫০)। আহাদের বাড়ি জুড়ী উপজেলার সাগরনাল ইউনিয়নের দক্ষিণ বড়ডহর গ্রামে। এ ঘটনায় তাঁর বাবা আবদুল গফুর ২২ ডিসেম্বর ঢাকার মতিঝিল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
জিডি ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, চান্দ আলী আদম ব্যবসা করেন। স¤প্রতি তিনি আহাদকে মালদ্বীপ পাঠানোর প্রস্তাব দেন। এতে রাজি হয়ে আবদুল গফুর জমি বিক্রি করে ভিসা বাবদ চান্দ আলীকে তাঁর দাবি অনুযায়ী ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা দেন। মালদ্বীপ পাঠাতে ৭ নভেম্বর চান্দ আলী আহাদকে নিয়ে ঢাকার মতিঝিলের ফকিরাপুল এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে গিয়ে ওঠেন। ১৭ নভেম্বর সকালে তাঁরা হোটেল থেকে বাইরে বের হন। এর পর থেকে তাঁদের আর কোনো খোঁজ মেলেনি। দু’জনের মুঠোফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। এ অবস্থায় আহাদের বাবা থানায় জিডি করেন।
আবদুল গফুর জানান, আহাদ নিখোঁজের পর বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান পাননি। চান্দ আলী কোথায় আছেন জানতে তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তিনি নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। কিন্তু, তাঁরাও কোনো সদুত্তর দিতে পারছেন না। এমনকি চান্দ আলীর নিখোঁজের ব্যাপারে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো থানায় জিডি করা হয়নি। বিষয়টি গফুরের কাছে রহস্যজনক মনে হচ্ছে। গফুর কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘বিদেশের দরকার নাই। আমি আমার ছেলেরে ফেরত চাই।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চান্দ আলীর ছেলে আবদুস সালাম মুঠোফোনে বলেন, ‘আমরা এখনো খোঁজাখুঁজি করছি। তাই, জিডি করিনি।’ একপর্যায়ে মুঠোফোনে চার্জ না থাকার কথা বলে তিনি সংযোগ কেটে দেন।
জিডি’র সত্যতা নিশ্চিত করে মতিঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) লিটন কুমার ঘোষ বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। বিভিন্নভাবে আহাদ ও চান্দ আলীর সন্ধানের চেষ্টা চলছে।’