পলিথিনের উৎপাদন ও ব্যবহার বন্ধ করতে হবে
মুহাম্মদ আবদুল কাহহারঃ পলিথিন এক ধরণের প্লাস্টিক। ২০১১ সাল থেকে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিবছর ৩ জুলাই আন্তর্জাতিক প্লাস্টিক মুক্ত দিবস পালন করা হয়, তবুও প্লাস্টিকের ব্যবহার দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার যোগ্য পলিথিন প্রথম ১৯৩৩ সালে আবিস্কৃত হলেও এর ব্যবহার ও জনপ্রিয়তা পায় ১৯৫৮ সাল থেকে। পরিবেশ অধিদফতরের সূত্রমতে, ১৯৮২ সাল থেকে আমাদের দেশে পলিথিন বাজারজাত ও ব্যবহার শুরু হয়। পলিথিন রাসয়নিকভাবে পলিমার জাতীয় পদার্থ থেকে তৈরী। ইথিন গ্যাসকে এটিএম চাপ (১০০০-১২০০) প্রয়োগ করে তরলে পরিণত করে সামান্য অক্সিজেন এর উপস্থিতিতে ২০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় উত্তপ্ত করলে ইথিনের অণু যুক্ত হয়ে পলিথিন গঠন করে। এককথায় পলিথিন হচ্ছে সাদা, অস্বচ্ছ ও নমনীয় হলেও এক ধরণের শক্ত প্লাস্টিক। এসিড, ক্ষার ও অন্যান্য দ্রাবক দ্বারা আক্রান্ত হয় না।
‘ম্যান্ডেটরি প্যাকেজিং অ্যাক্ট ২০১০’ আইন অনুযায়ী পাটের বস্তা ব্যবহার না করার অভিযোগে গত ৩০ নভেম্বর থেকে ৬ ডিসেম্বর রাত ১০টা পর্যন্ত সাত দিনে সারাদেশের ৬৪ জেলায় পরিচালিত ১৬০টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এক হাজার ৬৯৪ মামলা করে ৭১ লাখ ৯১ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। (শীর্ষ নিউজ, ৬ ডিসেম্বর,’১৫)। ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার ও চিনি- এই ৬টি পণ্য মোড়কীকরণে পাটের বস্তা ব্যবহার বাধ্যতামূলক আইনে বলা হয়েছে, এ আইন অমান্য করলে এক বছরের কারাদ- বা ৫০ হাজার টাকা অর্থদ- বা উভয়দ-ে দ-িত করার বিধান রয়েছে। একই অপরাধ দ্বিতীয়বার করলে দ- হয়ে যাবে দ্বিগুণ। মূলত শুধু ৬ ধরণের বস্তা বা প্যাকেট নয়, সব ধরণের পলিথিন নিষিদ্ধ আইন হওয়া উচিত। সম্প্রতি যেভাবে পলিথিন ব্যবহার নিষিদ্ধে প্রশাসনের তোড়জোর চলছে তা নিয়মিত অব্যহত থাকবে কিনা তা নিয়েও সংশংয় রয়েছে। কেননা, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায থাকাকালীন ২০০২ সালের ১ জানুয়ারি সর্বপ্রথম ঢাকায় পলিথিন নিষিদ্ধ করে। একই বছরেরর ১ মার্চ সারা দেশে পলিথিনের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করে। আইন অমান্য করে ২০ মাইক্রোনের চেয়ে পাতলা পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা হিসেবে ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান পাস করে। বাজারজাত করলে ৬ মাসের জেল ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান করেন। ক্ষমতা পরিবর্তনের আগেই সেই আইন শিথিল হয়ে গিয়েছিল। এবারও তেমন হবে কিনা বলা যায় না।
একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, নগরীর মোট বর্জ্যরে ৭০-৭৫ শতাংশ হচ্ছে পলিথিন । পলিথিন কিংবা প্লাস্টিকের ব্যাগ পচে মাটির সাথে মিশতে সময় লাগে কমপক্ষে ৪০০ বছর। এমনকি মেশার পরও তা মাটির উর্বরতা নষ্ট করে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পলিথিনের ক্ষয় বা বিনাশ নেই। এটা পোড়ালে প্রাথমিকভাবে ধ্বংস হয় বটে, কিন্তু এতে কার্বনডাই অক্সাইড, কার্বন মনো অক্সাইট সৃষ্টি হয়ে পরিবেশ দূষণ হয়। একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, একটি পরিবার দিনে গড়ে ৫টি পলিথিন ব্যবহার করার পর তার ৪টি পলিথিন কিছু সময়ের ব্যবধানে ফেলে দেন। যার ঠাই হয় নর্দমা, ড্রেন, ময়লার ভাগার থেকে নদী পর্যন্ত। র্দুভোগের নগরী ঢাকায় পানিবদ্ধতা, পানিদূষণ, নদীগর্ভের ইকোসিস্টেম ধ্বংস হচ্ছে পলিথিনের কারণে। ‘বুড়িগঙ্গা নদীতে দেখা গেছে ৮ ফুট শুধুই পলিথিনের আস্তরণ।’(আলোকিত বাংলাদেশ)। বুড়িগঙ্গা-শীতলক্ষ্যায় ২০ কোটিরও বেশি পলিথিন ও প্লাস্টিক ব্যাগ জমা হয়েছে। (যায়যায় দিন, ২৪ নভেম্বর,’১৫)। এতে নাব্য হ্রাস পেয়েছে। সাগর ও মহাসাগরের তলদেশেও সঞ্চিত হচ্ছেপলিথিন। পরিবেশ আন্দোলনের এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, প্রতি মাসে সারা দেশে গড়ে ২৫-৩০ কোটি পলিথিন ব্যাগ ব্যবহৃত হচ্ছে। এই সংখ্যাটি প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে। বাংলাদেশে প্রতিদিন ১ কোটি ২২ লাখ পলিথিন ব্যবহার হচ্ছে।(বণিক বার্তা,২১ জুন,’১৫) এক হিসেবে দেখা যায়, প্রতিদিন শুধু ঢাকা শহরেই গড়ে এক কোটি পলিথিন ব্যবহার হয়। যার মধ্যে ৯০ লক্ষ ব্যাগই নিক্ষিপ্ত হয় প্রতিদিন। ঢাকা শহরের শতকরা আশিভাগ ড্রেন বন্ধের কারণ হচ্ছে পলিব্যাগ। জানা যায়, ‘বর্তমানে বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ৬০ মিলিয়ন টন পলিথিন সামগ্রী উৎপাদিত হয়।’ বুড়িগঙ্গাসহ আসে-পাশেরর নদীর তলদেশ থেকে বর্জ্য উত্তোলনের জন্য ইতোমধ্যেই ২০৬ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে। শাসকশ্রেণি যদি পলিথিন ব্যবহার নিষিদ্ধে কঠোর ভুমিকা পালন করে আর নাগরিকরা সচেতন হয় তাহলে হয়তো অর্থনৈতিকভাবে দেশ সাশ্রয়ী হবে।
পলিথিন যেখানে-সেখানে জমে পরিবেশ বিনষ্ট করে। পলিথিনের ভিতর দিয়ে আলো-বাতাস বা পানি ঢুকতে পারে না। পানি, মাটি ও বাতাস মারাত্মকভাবে দূষিত হয়। মাটির উর্বরা শক্তিকেও কমিয়ে দেয়। এর ভিতর কোন পচনশীল জিনিস রাখলে তা দ্রুত বিষাক্ত হয়ে পড়ে। পলিথিন থেকে সৃষ্ট ব্যাকটেরিয়া ত্বকে বিভিন্ন রোগের জন্ম দেয়। পলিথিনে মোড়ানো গরম খাবার গ্রহণ করলে ক্যান্সার ও চর্মরোগের সংক্রামণ ঘটতে পারে। (বিডিএনভায়রনমেন্টডটকম)। পুরাতন পলিথিন পুড়িয়ে মন্ড তৈরী করে এর দ্বারা জর্দ্দার কৌটা ও অন্যান্য প্যাকেজ উপজাত তৈরী করা হচ্ছে। এর ফলে পলিথিন পোড়ানো বিষাক্ত ধোঁয়া আমাদের পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যকে বিপন্ন করে তুলছে। বিষাক্ত ধোঁয়ায় নানা ধরণের চর্মরোগ, শ্বাস কষ্ট, যক্ষা ও হাঁফানীর মতো মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে দেশের মানুষ। এমনকি এ ব্যাকটেরিয়া থেকে ডায়রিয়া ও আমাশয় রোগও ছড়াতে পারে। মাটির বিভিন্ন স্তরে জমা হযে পানির প্রবাহে বাধার সৃষ্টি করে। অন্যদিকে, উজ্জল রঙের পলিথিনে রয়েছে সীসা ও ক্যাডমিয়াম, যার সংস্পর্শে শিশুদের দৈহিক বৃদ্ধি ক্ষতিগ্রস্থ ও চর্মপ্রদাহের সৃষ্টি হয়। (কালেরকন্ঠ, ১৮ ফেব্রুয়ারি.’১৪)।
পলিথিন উৎপাদনকারী ব্যবসায়ীদের শক্তিশালী সিন্ডিকেট বিভিন্ন সময়ে পরিবেশ অধিদপ্তর ও প্রশাসনের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করেই ব্যবসা করছেন বলে জানা গেছে। লবন, চিনিসহ ২৩ প্রকার প্যাকেজিং পলিথিন উৎপাদনের অনুমোদন নিয়ে তারা নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন করছেন। ঢাকার ‘ইসলামবাগ, কামালবাগ, লালবাগ, সোয়ারিঘাট এলাকায় পলিথিন উৎপাদনকারী পাঁচ শতাধিক কারখানা রয়েছে। এসব কারখানা এলাকায় অপরিচিত কোন লোক প্রবেশ করলেই তাকে নজরদারীতে রেখে ব্যবস্থা নেয়া হয়। ১০/১২, ১৯/১১, ২২/১২সহ বিভিন্ন আকারের পলিথিন তৈরীর জন্য শুধু কামালবাগেই আড়াইহাজারেরও বেশি মেশিন আছে।’ (সমকাল ২৩ আগস্ট, ২০১৪)। অপর তথ্য মতে, ‘শুধু পূরাণ ঢাকায় তিনশতাধিক কারখানায় উৎপাদিত হচ্ছে পলিথিন ব্যাগ ও নাইলনের নেটব্যাগ।’ (ইনকিলাব, ৪ ডিসেম্বর)। বিশেষ করে, রহমতগঞ্জ, হোসেন উদ্দীন দ্বিতীয় লেন, আমলিগোলা, শহীদনগর, দেবীদাসঘাট, খাজেদেওয়ান, কেল্লারমোড়, বেগমবাজার, চকবাজার, বড় কাটরা, ছোট কাটরা, ফরিদাবাদ, মিটফোডর্, কামরাঙ্গীরচরসহ এছাড়া টঙ্গী, গাজীপুর, কেরানীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, মুন্সিগঞ্জ, দোহার এলাকায় পলিথিন তৈরী হচ্ছে। কারখানাগুলোতে দিনে বৈধ কারবার আর রাতে অবৈধ ব্যবসার কাজ চলছে। জাল টাকার নোটের মতো বিভিন্ন সাইজের পলিথিনের ভিন্ন-ভিন্ন রূপক নাম ব্যবহার করে দরদাম নির্ধারণ করার পর সুযোগ বুঝে তা ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানের মাধ্যমে জরুরি রপ্তানি কাজে নিয়োজিত স্টিকার লাগিয়ে সারাদেশে সরবরাহ করা হয়। স্থানীয় প্রভাবশালী ও দলীয় ব্যক্তিদেরকে ম্যানেজ করেই তারা ব্যবসা পরিচালনা করছেন বলে জানা গেছে। পলিথিন নিষিদ্ধ হওয়ার আগে ছিল হাতল ওয়ালা পলিথিন আর এখন হাতা ছাড়া পলিথিন। আইন হওয়ার সময় বাংলাদেশে যত পলিথিন কারখানা ছিল তার চেয়ে ১০ গুণেরও বেশি কারখানা এখন চালু রয়েছে। আমরা কি এগুতে পারলাম? নিশ্চয়ই নয়।
পলিথিন শপিং ব্যাগ হিসেবে ব্যবহার ক্রেতা ও বিক্রেতা সবার জন্য সহজ মাধ্যম হওয়ায় উভয়ে খুশি থাকেন। তাছাড়া, বাজারে ব্যাগ না নিয়ে যাওয়া ক্রেতাদের অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে যে। কোন পণ্য ক্রয় করলে তা যদি পলিথিন ব্যাগে না দেয়া হয় তাহলে সে ওই দোকান থেকে কোন কিছু ক্রয় করেন না। যে কারণে দোকানি বাধ্য হয়ে পলিথিন ব্যাগ সরবরাহ করেন। আরেকটি বিষয় হলো পলিথিনের ব্যাগ অতি হালকা হওয়ায় কোন দ্রব্য মাপ দেয়ার সময় তার ওজন খুব সামান্যই হয়। ক্রেতার তেমন ক্ষতি হয়না। কিন্তু যখন সে পণ্যটি কাগজের ব্যাগে করে দেয়া হবে তখন ওজন বেড়ে যাবে। ক্রেতা পণ্যটি ওজনে কম পাবেন বলে তারা পলিথিনেই আগ্রহী থাকেন।
পলিথিনের বিকল্প সহজলভ্য কোন পাটের ব্যাগ বাজারে সরবরাহ না থাকায় পলিথিনকেই সহজলভ্য হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে প্রত্যেক ব্যক্তি সচেতন হলে ব্যক্তির পাশাপাশি দেশীয় সম্পদ রক্ষা হবে। বিশেষ করে পাট শিল্প এগিয়ে যাবে। বিগত দিনে পাটের নেতিবাচক ব্যবহারের ফলে পাটের উৎপাদন ও রপ্তানি কমে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে ৪৫ টি পাটকল। (নয়া দিগন্ত, ৯ নভেম্বর,’১৫)। পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, প্লাস্টিকের বস্তা ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ হলে অতিরিক্ত প্রায় ৮০ কোটি পাটের বস্তা লাগবে। তথ্যানুযায়ী, দেশের পাটের উৎপাদন হয়, ৭০ থেকে ৮০ লক্ষ বেল (২শ কেজি) পাট। এর মধ্যে ৪০ লক্ষ বেল পাট দেশের বিভিন্ন পাটকলে সূতা ও চট তৈরীতে ব্যবহার করা হয়। ১৫-২০ লক্ষ বেল কাঁচাপাট মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয়। পাটের ব্যবহার বাড়লে পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি পাট চাষি উপকৃত হবে। তাছাড়া সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার কাজের সুযোগ সৃষ্টিসহ দেশীয় পাটকলগুলো সচল থাকবে। ৫০ কেজি চালের একটি চটের বস্তার দাম ৬০ টাকা। আর এমন ধরণের একটি প্লাস্টিকের বস্তার দাম পড়ে মাত্র ১৫ টাকা। কীভাবে চটের ব্যাগের কমিয়ে সহজলভ্য করা যায় সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষের ভেবে দেখা দরকার। যদিও ইতোমধ্যে দেশের ২৬ টি মিলে পাটের ব্যাগের দাম বস্তা প্রতি ১০ টাকা কমানো হয়েছে, তবুও তা যথেষ্ট নয়। পাটের ব্যাগের দাম আরো কমানো উচিত।
পলিথিন ও প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে কাপড়ের ব্যাগ, পাটের ব্যাগের ব্যবহারে জনসাধরণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে সুনিদর্ষ্টি কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরী। যেসব মালিকদের পলিথিন উৎপাদনের কারখানা রয়েছে তাদেরকে পাটের ব্যাগ তৈরীর মেশিন ক্রয়ে ঋণের ব্যবস্থা করা হলে তারা আগ্রহী হবে। উৎপাদনের সাথে জড়িত শ্রমিকদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়ে পাটের ব্যাগ তৈরীর জন্য প্রস্তুত করা না হলে তারা জীবাকার তাগিদে যে কোন মূল্যে পলিথিন উৎপাদন করবে। এজন্য যত বিকল্প পথ আছে তারা সেটা করবে। কিন্তু কারখানা বন্ধ করতে হবে। নতুন করে কোন পলিথিন শপিং ব্যাগ উৎপাদনের জন্য অনুমতি দেয়া চলবে না। দেশের সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে পলিথিন আসতে না পারে সেটিও নজরদারিতে রাখতে হবে। কাগজের ব্যাগ ও ঠোঙ্গা সহজলভ্য করার জন্য উদ্যোগ নেয়াসহ মনিটরিং টিম বাড়াতে হবে এবং অভিযান অব্যহত রাখতে হবে। পলিথিন যেভাবে ভিন্ন ভিন সাইজ ও ডিজাইনের হয়ে থাকে তেমনি পাট ও কাগজের দ্বারা ছোট, মাঝারি, বড় সব রকমের ব্যাগ তৈরী করতে হবে। কাগজ ও পাটের ব্যাগের দাম সাধারণত পলিথিনের চেয়ে বেশি হয়ে থাকে। তাই প্রয়োজনে ভর্তুকি দিয়ে হলেও মানসম্মত ব্যাগ তৈরী করতে হবে। ফলে সাধারণ মানুষ পলিথিন ব্যাগ ব্যবহারে নিরুৎসাহী হবে। পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে সারাদেশে ক্যাম্পেইন, মাইকিং, পোস্টার, লিফলেট বিতরণ করতে হবে। প্রতিটি মহল্লায় ছোট-বড় সব ধরণের দোকানে অভিযান পরিচালনাসহ শপিংমল থেকে ফুটপাতের অস্থায়ী দোকানসহ সর্বত্র যাদের কাছেই পলিথিন পাওয়া যাবে সকলকে জরিমানার আওতায় নিয়ে আসলে হয়তো এর ব্যবহার কমবে। সর্বোপরি, আমরা মনে করি আইন করা যথেষ্ঠ নয়, বাস্তবায়ন করাটাই হলো সফলতা।
লেখক: শিক্ষক ও কলামিস্ট