২৩৪ পৌরসভায় মেয়র পদে লড়ছেন ৯২৩ প্রার্থী
ডেস্ক রিপোর্টঃ আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে চূড়ান্ত লড়াইয়ে ২৩৪ পৌরসভায় মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী রয়েছেন ৯২৩ জন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ৬ জন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার শেষে মাঠপর্যায় থেকে তথ্য সমন্বয় করে ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার তৈরি প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইসির যুগ্ম সচিব জেসমিন টুলী জানান, এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ৯২৩ জন। প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ২০টি দলের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ৬৪৯ জন, আর স্বতন্ত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হচ্ছেন ২৭১ জন।
সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী হচ্ছেন ২৫৩৩। এদিকে ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের ৬ প্রার্থীর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন বলে নিশ্চিত করেছে ইসি সূত্র।তারা হলেন- পিরোজপুর পৌরসভায় হাবিবুর রহমান মালেক, জামালপুরের মাদারগঞ্জের মির্জা গোলাম কিবরিয়া (কবির), টুঙ্গিপাড়ার শেখ আহম্মদ হোসেন মির্জা, ফেনী সদরে হাজি আলাউদ্দীন, পরশুরামে নিজাম উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী, নোয়াখালীর চাটখিলে মোহাম্মদ উল্লাহ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন।
এদিকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিনে চাঁদপুরের মতলব উত্তরের ছেংগারচর পৌরসভার মো. রফিকুল আলম জর্জ ও আরো একজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন। এরই মধ্যে বিএনপি প্রার্থী সারয়ারুল আবেদিন বৈধ প্রার্থী হিসেবে আদালতের আদেশ নিয়ে এসেছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ হেকমত আলী। এক্ষেত্রে রফিকুল আলমকে হয়তো ভোটের প্রতিযোগিতা করতে হবে বলে জানান হেকমত আলী।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিনা ভোটে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এত সংখ্যক মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ার ঘটনা এই প্রথম। গত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিনা ভোটে ১৫৩ জন প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছিলেন।
নির্বাচনে ২০টি রাজনৈতিক দল ৬৫২ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দিয়েছে। এদের মধ্যে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সংখ্যা ১ জন, জাতীয় পার্টি-জেপির ৬ জন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির ৪ জন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২৩৪ জন, বিএনপির ২২০ জন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ৭ জন, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের ১ জন, জাতীয় পার্টির ৭৩ জন ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের ১ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছে।
এ ছাড়া বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের ৩ জন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের ২০ জন, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের ১ জন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপির ১৭ জন, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক পার্টি-পিডিপির ১ জন, ইসলামী ঐক্যজোটের ১ জন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ৫৬ জন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের ৩ জন, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ১ জন ও খেলাফত মজলিশ ১ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এ ছাড়া ২৭১ জন প্রার্থী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়বেন।
ইসির সিনিয়র সহকারী সচিব ফরহাদ হোসেন জানান, মেয়র পদে মোট ১,২১৪ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৯২৩ জন প্রার্থী। এবার ২৩৪ পৌরসভায় ৩০ ডিসেম্বর একযোগে ভোটগ্রহণ হবে। এতে মেয়র পদে দলীয় এবং কাউন্সিলর পদে নির্দলীয়ভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ নির্বাচনে ৩,৫৫৮টি ভোটকেন্দ্রে প্রায় ৭২ লাখ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন।