লামাকাজীতে জুয়ার আসর : প্রতিদিন কেউ ফকির কেউ বাদশা

ফাইল ফটো
ফাইল ফটো

সিলেট সদর জালালাবাদ থানাধীন ৭নং মোগলগাঁও ইউনিয়নের লামাকাজীতে চরেরবন এলাকায় চলছে জমজমাট জুয়ার আসর। প্রতিদিন বসছে মোটা অংকের জুয়ার দান। সিলেট সদর, বিশ্বনাথ-ছাতকসহ আশপাশের নামীদামী জুয়াড়ীরা এই জুয়ার আসরে এসে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার দান বসাচ্ছেন। স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
চরের বন্দে খোলা আকাশের নিচে ও চরেরবাড়ী ফিরুজ আলী ও তালুকপাড়া গ্রামের ময়নুল ইসলামের বাড়ীতে ঝুপড়ি ঘরে দীর্ঘ দিন থেকে চলে আসা জুয়ার আসর নিয়ে এলাকার সচেতন মহলে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ। জুয়ার আসর এর পরিচালক ফিরুজ আলী ও ময়নুল ইসলাম’র সাথে এ নিয়ে ফোনে আলাপ করলে তারা এ বিষয়ে কথা না বলতে অপারগতা প্রকাশ করে অন্য একজন লোকের সাথে কথা বলতে বলেন। তাছাড়া বিষয়টি স¤পর্কে থানা পুলিশ অবগত নয় বলে জানা যায়। এই আসরে প্রতিদিন সব কিছু হারিয়ে কেউ হচ্ছেন নিঃস্ব আবার দান মেরে কেউ হচ্ছেন কথিত বাদশা।
জালালাবাদ থানা হতে মাত্র ২৫ কিলোমিটার এবং বিশ্বনাথ থানা হতে ৩৫ কিলোমিটার, ছাতক থানা হতে ৮০ কিলোমিটারের মধ্যে চৌধুরীগাঁও (চরেরবাড়ী) ও তালুকপাড়া এলাকা। ওই এলাকার চরেরবাড়ীর পশ্চিমে সুরমা নদী উত্তর পাশে হাওরের মধ্যে ঝুপড়ি ঘর তৈরী করে বসানো হয়েছে জুয়ার আসর। হাওর এলাকা নিরাপদ ভেবে এখান থেকে অনেক জুয়াড়ী রাজা আবার অনেক ফকির বনে প্রতিদিন বাড়ী ফিরেন। তবে আসরের মূল হোতা ফিরুজ মিয়া বনে যাচ্ছেন বিরাট অংকের টাকার মালিক। সূত্রটি জানায়, জাতীয়, দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক ভিত্তিতে এখান থেকে বিভিন্ন মাধ্যমের কাছে উৎকোচ পৌঁছে দেওয়া হয়। জুয়ার আসরে যাতে বিঘ না ঘটে সে জন্য আশপাশ এলাকায় রাখা হয়েছে পাহারাদার। মোবাইল হাতে নিয়ে দিন রাত এসব পাহারাদারকে পাহারা দিতে দেখেছেন অনেক প্রত্যক্ষদর্শী।
এদিকে অনেক অভিভাবক আশংকা প্রকাশ করে বলেছেন, এই জুয়ার আসরে এলাকার উঠতি বয়সি যুবকদের যাতায়াত বৃদ্ধির পাশাপাশি এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। তাদের মতে এখই আসরটি উচ্ছেদ করে জয়ার আসরের হুতাদের বিরুদ্ধে না নিলে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।
জালালাবাদ থানার ওসি আক্তার হোসেন এ প্রসঙ্গে বলেন, এ বিষয়ে পুলিশের কাছে কোনো তথ্য নেই। এ স¤পর্কে অভিযোগ আসলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। তবে লালারগাঁও গ্রামের পুলিশের সোর্স ছেরাগ আলী বলেছেন, এ স¤পর্কে খোঁজ খবর নিয়ে পুলিশের উর্ধ্বতন মহলের সাথে কথা বলবেন। এমনকি আমার আপন ছোট ভাই মোঃ লুৎফুর রহমান সে গাজার আসর বসিয়ে দিয়ে আমার বাড়ীতে। আমি মাতলে আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-দামকি দেয় যাহা থানার উদ্বোর্ধতন কর্মকর্তা স্বাক্ষী আছে। গাজা খাওয়ার জন্য আসেন অত্র এলাকার অনেক নিষাখোর তাদের মধ্যে অত্র ওয়ার্ডের মেম্বার আইনুল হক, সুজন মিয়া-১, সুজন আহমদ-২, ফুল মিয়া, সেলিম আহমদ, আব্দুল্লাহসহ লালারগাঁও, লামাগাঁও, তালুকপাড়া, চৌধুরীগাঁও, খিত্তারগাঁও, মোল্লারগাঁও, চানপুর ও লামাকাজী বাজারের অনেক ব্যবসায়ী মদ, গাজা প্রাণ করে। আমি এখন নিরুপায় হয়ে সাংবাদিকদের কাছে অনুরোধ করে বলতে চাই আপনাদের লেখার মাধ্যমে বর্ণিত লোকদের আইনের আশ্রয় নেওয়ার জন্য সহযোগিতা চাচ্ছি। জুয়ার ইন্দনদাতা ফিরুজ আলী বলেন, সাইদুল হক, সায়মুল হক, ছেরাগ আলী, জুয়েল আহমদ, মনসুর আহমদ, তজুল হক, ময়নুল হক, লাল, ময়নুল হক, আলী হোসেন, ছয়ফুল আমীন, ময়নুল ইসলাম, সিরাজসহ তারা মিলে হাওরে কি করে আমি জানিনা। তারা আমার বাড়ীতে আগে আসতে আমি এখন তাদেরকে নিষেধ দিয়েছি। তাই বর্ণিত জুয়ারীগনকে গ্রেফতার করলে এর সত্যতা প্রমান পাওয়া যাবে। বিজ্ঞপ্তি