সারাদেশে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামফলক অবিলম্বে বাস্তবায়ন করুন

মুক্তিযোদ্ধার প্রজন্ম’র আলোচনা সভায় প্রিন্সিপাল মনোওর আলী

MUKTI- MUKTO-200ঐতিহাসিক বিশ্বনাথমুক্ত দিবস উপলক্ষে ৭১ এর বীর মুক্তিযোদ্ধার গর্বিত সন্তানদের সংগঠন মুক্তিযোদ্ধার প্রজন্ম’র উদ্যোগে গতকাল এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। মুক্তিযোদ্ধার প্রজন্ম সভাপতি কবি সাংবাদিক গীতিকার ও সুরকার নাজমুল ইসলাম মকবুল এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহ’র কেন্দ্রীয় মহাসচিব, কামাল বাজার আলিম মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুফতি মাওলানা এ.কে.এম মনোওর আলী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশের মুক্তিকামী বীর জনতার গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা ছিল। স্বাধীনতাযুদ্ধে এ দেশের অগণিত বীর মুক্তিযোদ্ধা দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। ৭১ এর এই দিনে বিশ্বনাথ থেকে চিরতরে বিতাড়িত করা হয়েছিল পাক হানাদার বাহিণী ও তাদের দোসরদের। দেশকে হানাদারমুক্ত করতে জীবন বাজী রেখে লড়েছিলেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধারা। প্রাণের মায়া বিষর্জন দিয়ে তারা যুদ্ধ করে স্বাধীনতার লাল সুর্য ছিনিয়ে এনেছেন বলেই আমরা আজ স্বাধীনভাবে নিঃশ্বাস নিতে পারছি। দেশের গুরুত্বপুর্ণ পদে অধিষ্টিত হয়ে রাষ্ট্রিয় সুযোগ সুবিধা ভোগ করছি। তাই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের যথাযথ মর্যাদা আমাদেরকেই দিতে হবে। তাদেরকে প্রথম শ্রেণীর অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তার মর্যাদা দিয়ে সে অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধা প্রদান করতে হবে। শুধু তাই নয় দেশের প্রতিটি জেলা উপজেলা ও ইউনিয়নের গুরুত্বপুর্ণ স্থানে নিজ নিজ এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম খোদাই সংবলিত ফলক বাস্তবায়ন করতে হবে।
সংগঠনের সাধারন সম্পাদক মোঃ লিমন মিয়ার পরিচালনায় বিশ্বনাথ পুরান বাজারে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উত্তর বিশ্বনাথ কলেজের প্রিন্সিপাল নেছার আহমদ, বিশ্বনাথ প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আবদুল আহাদ, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাবেক কৃতি ফুটবলার আলী আজম, সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের বিশ্বনাথ উপজেলা সাধারন সম্পাদক মোঃ মধু মিয়া, পঞ্চগ্রাম সমাজ কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আবদুল মছব্বির। সভাপতির বক্তব্যে কবি নাজমুল ইসলাম মকবুল বলেন, দেশের প্রতিটি জেলা উপজেলা ও ইউনিয়নের গুরুত্বপুর্ণ স্থানে নিজ নিজ এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম খোদাই সংবলিত ফলক বাস্তবায়নের জন্য আমরা বিগত পনের বছর যাবত আন্দোলন করে যাচ্ছি। বিশেষ করে বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের সামনে বিশ্বনাথের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামফলক বাস্তবায়নের জন্য আমরা স্থানীয় এম.পি, ইউএনও এবং উপজেলা চেয়ারম্যানের নিকট বছর বছর স্মারকলিপি দিলাম আর আশ্বাসের বাণী শুনলাম। কিন্তু আজ পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন না হওয়াটা দুঃখজনক। আমরা বিজয়ের এ মাসে আবারও দাবী করছি, প্রতি বছর ন্যায্য এ দাবীটি নিয়ে যেন আমাদেরকে কথা বলতে না হয় সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নিন।