জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে ঝাড়ু মিছিল
বিক্ষোভ সমাবেশ ও দুদিনের কর্মসূচি ঘোষণা
ডেস্ক রিপোর্টঃ সিলেট জেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি বাতিল ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে গতকাল সোমবার নগরীর তালতলা সাবরেজিষ্ট্রারী মাঠ থেকে শুরু করে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে এক ঝাড়– মিছিল নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে চৌহাট্টা পয়েন্টে গিয়ে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্টিত হয়।
সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি এম নিজাম উদ্দিন এর সভাপতিত্বে এবং শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মওদুদ আহমদ আকাশ ও গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক কনকপাল অরূপ এর যৌথ পরিচালনায় তৃণমূল ছাত্রলীগের দাবী সাথে একাত্মতা পোষণ করে বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি হোসাইন আহমদ চৌধুরী, ছয়েফ আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক দিদার হোসেন সাজু, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব কান্তি দাস, আইন সম্পাদক পিটু রঞ্জন দাস, বন ও পরিবেশ সম্পাদক ছাদিকুর রহমান, উপ প্রচার সম্পাদক আতিকুল ইসলাম ইমন, পাঠাগার সম্পাদক মেহেদী হাসান উজ্জল, উপ গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ফাইয়াদ আহমদ জামিল, উপ আইন সম্পাদক কাওসার আহমদ, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক বখতিয়ার আকরাম চৌধুরী অনি সহ সদ্য গঠিত কমিটির পদবী প্রাপ্ত অর্ধ শতাধীক নেতাকর্মী।
মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বক্তারা বলেন বর্তমান জেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ছাত্রশিবির, ছিনতাইকারী, ছাত্রদল, অছাত্র, বিবাহীতদেরকে দিয়ে যে কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে এসমস্ত কমিটি অনতি বিলম্বে বাতিলের দাবি জানিয়ে ২দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। আজ মঙ্গলবার সিলেট জেলার সকল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্র ধর্মঘট এবং পরের দিন বুধবার সকল উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল ঘোষণা করা হয়। সাথে সাথে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহরিয়ার আহমদ সামাদ ও সাধারণ সম্পাদক এম রায়হান চৌধুরী সহ অনুপ্রবেশকারী (শিবির, ছাত্রদল) অছাত্র, ছিনতাইকারী, বিবাহিতদের সিলেটে অবাঞ্চিত ঘোষনা করা হয়।
জানা যায়, নব গঠিত সিলেট জেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে স্থান পেয়েছে নগরীর চিহ্নিত অস্ত্রবাজ শাহপরান থানার একাধিক মামলার আসামী সয়েফ আহমদ উরুফে টুকাই সয়েফ। সে কখনো স্কুলের ধারে কাছে য়ায়নি। সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বিতর্কীত উপশহরের সকল ব্যবসায়ী একত্রিত হয়ে যার বিরুদ্ধে চাদা বাজি মামলা সহ একাধীক মামলা দায়ের করেছেন সেই চিহ্নিত বন্ধুক বাজ জাকারিয়া মাহমুদ সে সমাজসেবা সম্পাদক হিসেবে স্থান পেয়েছে মহদুদ আহমদ আকাশ, বালুচরের ডাকাতি এবং একাধিক মামলার আসামী অছাত্র এবং ইভটিজিং সহ বহু নেক্যারজনক ঘঠনার সাথে জড়িত। অনিরুদ্ধ মজুমদার পলাশ সে সরকারী কলেজের এইচএসসি পড়া কালে মুসলমান মেয়ে নিয়ে পলাতক এবং পরে নারী নির্যাতন মামলায় দীর্ঘদিন কারা ভোগ কারী বর্তমানে অবৈধ হোটেল ব্যবসায় ঠিকাদার। সোলেমান চিহ্নিত ছিনতাইকারী অছাত্র এবং বিবাহিত একাধিক মামলার আসামী সহ-সভাপতি, এমসি কলেজে সাবেক সভাপতি তাজিম উদ্দিনের বোনকে নিয়ে পলাতক ছিল। জুবের খান অতীতে ছাত্র দলের সক্রিয় কর্মী ছিল, একাদারে অছাত্র এবং চাদাবাজ বর্তমানে সহ-সভাপতি। সোহেল আহমদ মুন্না জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রায়হানের আদম ব্যবসার সহযোগী এবং অছাত্র। আদীরাজ উজ্জল অছাত্র এবং ইবটিজার, উপরোক্ত সবাই জেলা ছাত্রলীগের রায়হানের একান্ত সহযোগী। তোফায়েল আহমদ সানি ছাত্র শিবিরের দুধর্ষ ক্যাডার ছিল বর্তমানে ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এর দায়িত্বে। সাকুর আহমদ জনি অছাত্র খুনের মামলার আসামী নগরীর চিহ্নিত চিনতাইকারী সে এখন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। সাহেদ আহমদ অছাত্র এবং উপশহর রোডের আসমা ট্রেইলার্সের দর্জির কাজ করে। কিশোর ধর অছাত্র ছিনতাইকারী । কামরান হোসেন খান অছাত্র, সাইফুর রহমান অছাত্র ও ফামেসী ব্যবসায় জড়িত। আমান উদ্দিন বিবাহিত। এ কে এম চৌ: জাবেদ, শিবির থেকে অনুপ্রবেশকারী রাজা ম্যনশন ফটোকপির দোকান, এছাড়া আর অনেক সন্ত্রাসী অছাত্র বিবাহিত উক্ত কমিটিতে রয়েছে বলে জানা য়ায়। উপরোক্ত সবাই জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সামাদের অনুসারী।