নির্বাচনের ঘোষণা না আসায় হতাশ শ্রীমঙ্গল পৌরবাসী
ডেস্ক রিপোর্টঃ মেয়াদ পূর্ণ হওয়া সকল পৌরসভায় এখন নির্বাচনী হাওয়া। প্রার্থী সমর্থক এবং ভোটারের মাঝে চলছে হিসাব-নিকাশ। আলোচনায় জমে ওঠেছে হাঠ-বাজার, চায়ের দোকান, রেস্টুরেন্ট, পাড়া-মহল্লা তথা সর্বমহলে।
প্রতিটি পৌর এলাকায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের শুভেচ্ছা সম্বলিত ব্যানার-ফেস্টুন টানিয়ে শহরের মূল চিত্র পাল্টে গেছে ইতিমধ্যে। এ অবস্থা থেকে পিছিয়ে নেই শ্রীমঙ্গল পৌরসভাও। কিন্তু প্রথম পর্যায়ের তালিকায় থাকার পরও তপশীল ঘোষণায় অদৃশ্য কারণে শ্রীমঙ্গলের নাম বাদ পড়ায় পৌরবাসীর মনে এক ধরনের হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে গোটা শ্রীমঙ্গল জুড়েই। ইতিমধ্যে বিষয়টি ‘টক অব দা টাউনে’ পরিণত হয়েছে।
মেয়াদোত্তীর্ণ পৌরসভাগুলোর মধ্যে নির্বাচনযোগ্য প্রথম ধাপের প্রকাশিত তালিকায় শ্রীমঙ্গলের নাম ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে শ্রীমঙ্গলের প্রার্থী নিয়ে বিভিন্ন ধরনের আলোচনার মধ্যে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারসহ সুক্ষ্ম মেরুকরণ শুরু হয়। যদিও দীর্ঘদিনের দাবি হিসেবে পৌর এলাকার সীমানা বৃদ্ধিকরণ বিষয়ক জটিলতা নিয়ে এক ধরনের ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু এত বছরেও কিছু না হওয়ায় ঠিক নির্বাচনের মুহূর্তে নাম ঘোষণার পরও হঠাৎ করে তালিকা থেকে শ্রীমঙ্গল পৌরসভার নাম বাদ দিয়ে তপশীল ঘোষণা হওয়ায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টিতে কেউ কেউ ষড়যন্ত্রের গন্ধও খোঁজার চেষ্টা করছেন।
ইতিমধ্যে সীমানা বর্ধিতকরণের দাবি নিয়ে আদালতে রিট পিটিশন করেছেন দু’টি পক্ষ। এর প্রেক্ষিতে শ্রীমঙ্গল পৌরসভার সীমানা বর্ধিতকরণে পদক্ষেপ নেয়া এবং এ বিষয়ে সর্বশেষ অবস্থা আদালতকে জানাতে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসককে নির্দেশ প্রদান করেছেন মহামান্য আদালত। মহামান্য আদালতের এই আদেশের সাথে নির্বাচনের বিষয়ে কোন কিছু উল্লেখ ছিল না। এ অবস্থায় তপশীল ঘোষণা পর্যন্ত অপেক্ষায় ছিলেন রিট পিটিশনারী পক্ষদ্বয়। তপশীল ঘোষণার সাথে সাথে স্থগিতাদেশ চেয়ে মামলা পরিচালনার জন্য তারা সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছিলেন।
এদিকে, স্থানীয় সরকার বিষয়ক সংশোধিত নীতিমালায় চূড়ান্তভাবে বলা হয়েছে- যদি কোন পৌরসভার মেয়াদোত্তীর্ণ হয়, সে পৌরসভায় কোন কারণে নির্বাচন করা না গেলে উক্ত পৌরসভার পরিষদকে অপসারণ করে উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করবেন।
তালিকায় থাকার পরও তপশীল ঘোষণায় শ্রীমঙ্গলের নাম না থাকায় পরবর্তী ধাপে শ্রীমঙ্গলের নাম থাকা নিয়েও সন্দেহ দেখা দিয়েছে পৌরবাসীর মনে। এমনি এক অনিশ্চয়তায় ভবিষ্যতে প্রশাসক নিয়োগেও জলিটতা সৃষ্টি হতে পারে বলে অনেকে ধারণা করছেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীর মনে হতাশা ও ক্ষোভ দানা বাঁধছে।