শিশু সাঈদ হত্যা: পুলিশ কনস্টেবল-ওলামা লীগ নেতাসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

Geda-and-Sayeedসুরমা টাইমস ডেস্কঃ প্রায় ছয়মাস পর সিলেটে শিশু আবু সাঈদ হত্যা মামলায় চারজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র প্রদান করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুর ২টায় সিলেট মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মোশাররফ হোসাইন।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর রহমান, পুলিশের সোর্স আতাউর রহমান গেদা, জেলা ওলামা লীগ নেতা নুরুল ইসলাম রাকিব ও মাহিদ হোসেন মাসুদ। সিলেট নগরীর দর্জিবন্দ বসুন্ধরা ৭৪ নম্বর বাসার মতিন মিয়ার ছেলে ও রায়নগর শাহমীর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র আবু সাঈদ (৯)।
এ বছরের ১১ মার্চ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এবাদুর, রাকিব, গেদা মিয়া ও মাসুদ মিলে শিশু আবু সাঈদকে অপহরণ করেন। এর পরের দিন (১২ মার্চ) কনস্টেবল এবাদুরের বাসায় শিশুটিকে হত্যা করেন ঘাতকরা। লাশ গুম করে রাখা হয় এবাদুরের ভাড়া বাসার ছাদের চিলেকোঠায়। হত্যার পর ঘাতকেরা সাঈদের বাবা ও মামা জয়নাল আবেদীনের কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। পরে ১৪ মার্চ রাত ১০টায় কনস্টেবল এবাদুরের বাসার ছাদের চিলেকোঠা থেকে ৭টি বস্তায় মোড়ানো আবু সাঈদের গলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এদিন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে হত্যার আলামত সংগ্রহের পর রাত দেড়টার দিকে মরদেহ ওসমানী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠিয়ে দেয়। এ ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়, সিলেট মহানগরীর বিমানবন্দর থানার পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর, জেলা ওলামা লীগের এক নেতা নুরুল ইসলাম রাকিব, সোর্স আতাউর রহমান গেদাকে। এদের তিনজনই আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।

শিশু হত্যার এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন নগরবাসী। খুনিদের ফাঁসির দাবিতে বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়।