সিলেট জেলা ছাত্রলীগের ১৪১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন

Chhatroleage Sylhet logoডেস্ক রিপোর্টঃ সিলেট জেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। শুক্রবার রাতে ১৪১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন করা হয় বলে জানা গেছে। ১০ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণার প্রায় ১৫ মাস পর পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন পেল। কমিটি অনুমোদনের জন্য জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ঢাকায় অবস্থান করে অবশেষে সফল হলেন তারা। পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহরিয়ার আলম সামাদ।
জানা যায়, অনুমোদিত কমিটিতে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ছাড়া সহ-সভাপতি রয়েছেন ১৯ জন, যুগ্ম সম্পাদক ৫ জন, সাংগঠনিক সম্পাদক ৭ জন, বিভিন্ন সম্পাদকীয় পদে ২৩ জন, উপ-সম্পাদকীয় পদে ২৫ জন, সহ-সম্পাদক ১৫ জন এবং সদস্য রয়েছেন ৪৩ জন। তন্মধ্যে প্রচার ও দফতরে উপ-সম্পাদক রয়েছেন দুইজন করে।
গতবছরের ৮ সেপ্টেম্বর ১০ সদস্য বিশিষ্ট যে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল, সেই কমিটির দুই যুগ্ম সম্পাদক কামরুল ইসলাম ও সঞ্জয় কুমার বহি®কৃত হওয়ায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন। তাদের পরিবর্তে অন্য দুজনকে যুগ্ম সম্পাদক পদে আনা হয়েছে।
এদিকে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ত্যাগী, প্রকৃত ছাত্র এবং বিশেষ করে জামায়াত-শিবিরের হাতে নির্যাতিতদের গুরুত্ব দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। তন্মধ্যে যুগ্ম সম্পাদক পদে রয়েছেন সিলেট সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের নেতা অসিম কান্তি ধর। এছাড়া এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে শিবিরের হাতে নির্যাতিত মেহেদি হাসান উজ্জল ও গোলাপগঞ্জ ছাত্রলীগের নেতা মিজানুর রহমান সম্পাদকীয় পদ পেয়েছেন।
এদিকে ছাত্রলীগের বর্তমান গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কমিটি ১২১ সদস্য বিশিষ্ট হওয়ার কথা থাকলেও তা ১৪১ সদস্যে গিয়ে ঠেকেছে। এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রায়হান চৌধুরী বলেন, ‘ছাত্রলীগের আগামী বর্ধিত সভায় গঠনতন্ত্র সংশোধন করে ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হবে। বর্ধিত সভায় ওই সিদ্ধান্ত গৃহিত হলে জেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে আরো ১০ সদস্য অন্তর্ভূক্ত করা হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ ঘটেছে। শহরভিত্তিক কমিটি না করে উপজেলা পর্যায়ের ত্যাগী, প্রকৃত ছাত্রদের মূল্যায়ন করা হয়েছে। কমিটিতে হত্যা মামলার কোনো আসামি, সাংবাদিক নির্যাতনকারী, ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে ছিনতাইয়ে জড়িত থাকা এবং সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত থাকা কাউকে রাখা হয়নি।’