‘গণমাধ্যমে সেলফ সেন্সরশিপ চলছে’
ডেস্ক রিপোর্টঃ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেয়ার আহ্বান নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বরা। নিউজ টুডের সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ইউরোপীয় পার্লামেন্ট গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেয়া, প্রকাশক ও সংবাদকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা তুলে নেয়া এবং বন্ধ গণমাধ্যমকে খুলে দেয়ার যে আহ্বান জানিয়েছেন এটা সকল গণমাধ্যমকর্মীর দাবি। বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সংকুচিত করা হয়েছে। সংবাদকর্মীরা উদ্বেগ উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছে। মামলা দিয়ে, বিজ্ঞাপন না দেয়ার হুমকি দিয়ে এবং গ্রেপ্তার করে গণমাধ্যম কর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে। সরকার এ বিষয়ে কর্ণপাত করছে না। দেশে যদি গণতন্ত্র না থাকে তাহলে গণমাধ্যম তার স¦াধীনতার সুফল ভোগ করতে পারে না। তাই সরকারের উচিত ইউরোপীয় পার্লামেন্টের পরামর্শ গ্রহণ করা। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেছেন, ইউরোপীয় পার্লামেন্টের এ বক্তব্য অযৌক্তিক এবং অবাস্তব। বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স¦াধীনতা হরণ করা হয়নি। সরকারের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণের করার কোন মানসিকতা নেই। এদেশের গণমাধ্যম অনেক বেশি স¦াধীনতা ভোগ করছে। টকশোগুলো দেখলেই এটা বুঝা যায়। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যরা যদি বাংলাদেশের টকশোগুলো দেখেন তাহলে তারাও বুঝতে পারবেন। প্রকাশক ও সংবাদকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা তুলে নেয়ার ইউরোপীয় পার্লামেন্ট যে আহ্বান জানিয়েছে এ বিষয়ে ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, তারা কোন নির্দিষ্ট মামলার কথা উল্লেখ করেনি। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের বিরুদ্ধে সরকার কখনও মামলা করে না। কোন ব্যক্তি যদি প্রকাশিত সংবাদে বিক্ষুব্ধ হয়ে মামলা করে এ ক্ষেত্রে সরকারের কি করার আছে। গণমাধ্যমের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার সচেতন রয়েছেন বলে জানান তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যম পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে চাপের মধ্যে আছে। বিজ্ঞাপন নিয়ে অলিখিত চাপ আছে সরকারের পক্ষ থেকে। গণমাধ্যমে সেলফ সেন্সরশিপ চলছে। শুধু গণমাধ্যমে নয় ফেসবুক বন্ধ করে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেও মত প্রকাশে বাধা সৃষ্টি করছে সরকার। সরকারের কাছে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের আহ্বান যথার্থ মনে করেন রোবায়েত ফেরদৌস। (মানবজমিন)