ফুটবলার আসলাম তার ক্রেস্ট উৎসর্গ করলেন শেখ কামালকে
নিউইয়র্ক থেকে এনা: বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক ও রাষ্ট্রীয় পদকপ্রাপ্ত ফুটবলার শেখ মোহাম্মদ আসলামকে সংবর্ধনা দিয়েছে নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ স্পোর্টস কাউন্সিল। সংবর্ধনা সভায় শেখ মোহাম্মদ আসলামকে বিশেষ ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। তিনি তার বক্তব্যের শুরুতেই এই ক্রেস্টটি প্রয়াত শেখ কামালকে উৎসর্গ করেন।
গত ২২ নভেম্বর সন্ধ্যায় ( নিউইয়র্ক সময়) জ্যাকসন হাইটসের পালকি পার্টি সেন্টারে বাংলাদেশ স্পোর্টস কাউন্সিলের সভাপতি মহিউদ্দিন দেওয়ানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাসিত খান বুলবুলের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড় এবং রাষ্ট্রীয় পুরস্কার প্রাপ্ত খেলোয়াড় শেখ মোহাম্মদ আসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের সাবেক অলিম্পিয়ান এবং আন্তর্জাতিক খেলোয়াড় সাঈদুর রহমান ডন, জাতীয় দলের রেকর্ড হোল্ডার এবং আন্তর্জাতিক খেলোয়াড় ও ঠিকানা সিওও সাঈদ-উর- রব, জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার মোস্তফা হোসেন মুকুল, প্রাণ গোবিন্দ কুন্ডু, বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আজমল হোসেন কুনু, বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম হাওলাদার, বাংলাদেশ স্পোর্টস কাউন্সিলের সাবেক সভাপতি মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী, সংগঠনের সহ সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাবেক জাতীয় এ্যাথলেট সৈয়দ এনায়েত আলী, আমিনুল ইসলাম লিটন, বাংলাদেশ স্পোর্টস কাউন্সিলের পৃষ্ঠপোষক শাসমুল আবেদীন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাপ্তাহিক বর্ণমালার সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, কবীর চৌধুরী জসী, ওয়াহেদ কাজী এলিন, মোহাম্মদ আনোয়ার, রোমিও রহমান, তৈয়বুর রহমান টনি, সাংবাদিক সালাউদ্দিন, বাংলাদেশ স্পোর্টস কাউন্সিলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিসবাহ আবদীন, বাংলাদেশ সোসাইটির সহ সভাপতি ফারুক হোসেন মজুমদার প্রমুখ।
শেখ মোহাম্মদ আসলাম তাকে সম্মান জানানোর জন্য অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আমি আজকে অভিভূত। কারণ আমি এখানে প্রাণ গোপালসহ অনেক খেলোয়াড়দের দেখতে পাচ্ছি। আমি আপনাদের মিস করি। তিনি বলেন, আজকে আমি আমার কোচ রহিম সাহেককে স্মরণ করছি। আমার বাবা মায়ের পরেই আমি তাকে স্থান দিয়েছি। তিনি বলেন, আমি স্বপ্ন দেখতাম ভাল ফুটবলার হবো, জাতীয় দলের ফুটবলার হবো। আপনারাই আমাকে সেই আসলাম বানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি আমার বাবার হাত ধরেই এই ফুটবলে এসেছি। তিনি অতীতের স্মৃতিচারণ করে বলেন, এরশাদের শাসনামলে আবাহনী কাব বন্ধ করে দেয়ার ষড়যন্ত্র হয়েছিলো। আমাদের অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। ঐ সময় বর্তমার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের ডেকে কেঁদেছিলেন এবং আবাহনী কাবকে তথা শেখ কামালের স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার অনুরোধ করেছিলেন। আমরা তার কথা রেখেছিলাম। আমাদের অনেক কষ্ট করতে হয়েছিলো। পরে তিনিও আমাদের পাশে ছিলেন এবং এখনো খেলাধুলার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, আজকে আপনারা সম্মান করে আমাকে যে ক্রেস্টটি দিয়েছেন আমি তা প্রয়াত শেখ কামালকে উৎসর্গ করলাম।