মুজাহিদ ও সাকা বিচারিক হত্যাকান্ডের শিকার

জাতিসংঘের সামনে বিক্ষোভ ও গায়েবানা জানাজা

বিক্ষোভ সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের একাংশ। ছবি- এনা।
বিক্ষোভ সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের একাংশ। ছবি- এনা।

নিউইয়র্ক থেকে এনা: জামায়াতে ইসলামি বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির রায় কার্যকরকে বিচারিক হত্যাকান্ড ও রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্র হিসাবে অভিহিত করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে কোয়ালিশন অব বাংলাদেশী আমেরিকান এসোসিয়েশন। কোয়ালিশন অব বাংলাদেশী আমেরিকান এসোসিয়েশনের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এবং প্রগ্রেসিভ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমানের পরিচালনায় বিক্ষোভ সমাবেশটি গত ২২ নভেম্বর ( নিউইয়র্ক সময়) দুপুরে নিউইয়র্কে অবস্থিত জাতিসংঘের সদর দফতরের সামনে অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে সবাই গায়েবানা জানাজায় অংশগ্রহণ করেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি প্রফেসর কাজী মোহাম্মদ ইসমাইল, প্রগ্রেসিভ ফোরামের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর নূরুল ইসলাম, মসজিদে সুরার প্রতিনিধি শেখ আহমেদ, রাইটার্স ফোরামের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল আরিফ, সাংবাদিক শহীদুল ইসলাম,

জাতিসংঘের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ। ছবি- এনা।
জাতিসংঘের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ। ছবি- এনা।

জাগপার সভাপতি এ এস এম রহমতুল্লাহ, মাওলানা শাখাওয়াত হোসেন, সাইফুল্লাহ খান, ড. আজিজ উল্যাহ, মনির হোসেন, আব্দুল আজিম, বাবুল ইসলাম, শিক্ষাবিদ আবু সামিয়া সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাইটার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক নঈমুদ্দিন, আজিজ উল্যাহ, রাশেদুজ্জামান, শহীদুল ইসলাম, সোহাগ তালুকদার, আনোয়ারা বেগম, শহীদুল্লাহ কায়সার, সাঈদী মুক্তি পরিষদের সভাপতি আব্দুল খালেক প্রমুখ।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, জামায়াতে ইসলামির সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালা উদ্দিন কাদের চৌধুরী য্দ্ধুাপরাধী ছিলেন না। তারা রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্র ও বিচারিক হত্যাকান্ডের শিকার। বর্তমান সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাদের হত্যা করেছে। তারা বলেন, এক দিন এ সব হত্যাকান্ডেরও বিচার করা হবে। তারা আরো বলেন, শেখ হাসিনার বর্তমান সরকার হচ্ছে অবৈধ সরকার। এই সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য বাংলাদেশকে রাম ও বামের রাজ্যে পরিণত করেছে। ভারতের ষড়যন্ত্রে বাংলাদেশের রাজনীতি ও ইসলামি আন্দোলনকে মেধা ও নেতৃত্ব শূণ্য করার জন্য এ সব হত্যাকান্ড ঘটাচ্ছে। এর আগেও জামায়াতের নেতা আব্দুল কাদের মোল্লা ও কামারুজ্জামানকে হত্যা করেছে। তারা বলেন, এ সব নেতাদের হত্যা করে বাংলাদেশে ইসলাম আন্দোলন থামানো যাবে না। তারা আরো বলেন, শেখ হাসিনার অবৈধ সরকার শুধু তাদের হত্যা করেনি, উল্টো মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ এবং সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী প্রাণ ভিক্ষা চাননি, কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে তারা প্রাণ ভিক্ষা চেয়েছেন। এর চেয়ে মিথ্যাচার আর কী হতে পারে। তারা বলেন, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর জানাজায় হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতি প্রমাণ করেছে তিনি যুদ্ধাপরাধী ছিলেন না, তিনি তার এলাকার মানুষের জনপ্রিয় নেতা ছিলেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে পুরুষের পাশাপাশি বিপুলসংখ্যক মহিলাও উপস্থিত ছিলেন। বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে সরকারবিরোধী বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেয়া হয়। যার মধ্যে ছিলো শহীদের রক্ত বৃথা যেতে দেবো না, শেখ হাসিনার কালো হাত ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাও, অবৈধ সরকার মানি না, মানবো না, বাংলাদেশে বিচাররিক হত্যা কেন শেখ হাসিনা জবাব চাই। ভারতের দালালরা হুঁশিয়ার সাবধান।