জুড়ী প্রতিনিধি: ‘স্বাধীনতার পরাজিত শক্তির ইন্ধনে একটি কুচক্রীমহল আমার মানহানীর অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছি। বি,এল,এফ এর সশস্র গ্রুপ মুজিব বাহিনীর কুলাউড়া থানার ডেপুটি কমান্ডার ছিলেন। স্বাধীনতার পর দীর্ঘ ৩৯ বছর শিক্ষকতা পেশায় জড়িত ছিলাম। স্বাধীনতার ৪৪ বছর পর একটি কুচক্রীমহল আমাকে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা বলে অপবাদ দিয়ে সমাজে হেয় করার অপচষ্টা করছে’। কথা গুলো বলেছেন জুড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক আলহাজ্ব আজির উদ্দিন আহমদ। শনিবার দুপুরে জুড়ী উপজেলা প্রেস কাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান। মুক্তিবার্তা লাল বইয়ে লিপিবদ্ধ তাঁর নামসহ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বহু প্রমাণাদি উপস্থাপন করে তিনি বলেন, ‘আমার বাড়ি জুড়ীর শিলুয়া গ্রামে। ওই গ্রামের বাসিন্দা প্রতুল চন্দ্র দেব ১৯৬৫ সালে ভারত চলে যাওয়ায় তাঁর সম্পত্তি তৎকালীন আইন অনুযায়ী শত্রু সম্পত্তির অন্তর্ভূক্ত হয়। তাঁর ভাই দিগেন্দ্র দেব এই সম্পত্তি জবর দখল করে রাখেন। ১৯৭১ সালে প্রতুল চন্দ্র দেব বাড়িতে আসলে ভাইদের ভয়-ভীতিতে ১৯৭২ সালে পুনরায় দেশ ত্যাগ করেন। গোয়ালবাড়ি ইউনিয়নের ১৬জন ব্যক্তি উক্ত সম্পত্তি থেকে ১.৫০ একর করে ২৪ একর জমি বন্দোবস্ত নিয়ে খাজনা-ট্যাক্স দিয়ে ভোগ-দখল করছেন। বাকি সম্পত্তি দিগেন্দ্র দেব এর পুত্র টলু দেবদের দখলে রয়েছে। দিগেন্দ্র দেব উক্ত সম্পত্তি নিয়ে ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত আদালতে একাধিক মামলা করলেও আদালতের রায় তাঁদের বিপক্ষে যায়। উক্ত সম্পত্তি শত্রু সম্পত্তিতে রুপান্তরে আমার কোন ভূমিকা ছিলনা। এমনকি আমি কোন জায়গাও বন্দোবস্ত নেইনি। ইতিপূর্বে আমার বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহিদ নামে একটি ভৌতিক অভিযোগ মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে দেয়া হয়। তদন্ত কালে আব্দুল ওয়াহিদ লিখিত ভাবে অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করলে তা মিথ্যা প্রমাণিত হয়’। নিজের পরিবারের কেহ জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত নয় দাবি করে তিনি বলেন, আমার প্রতি ব্যক্তিগত হিংসা ও মানহানীর অসৎ উদ্দেশ্যে একটি মুখোশধারী কুচক্রীমহলের ক্রীড়নক হয়ে দিগেন্দ্র দেবের পুত্র দিবেন্দু দেব টলু গত ১৭ নভেম্বর মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসকাবে আমি ও আমার ভাই মুক্তিযোদ্ধা মখলিছ উদ্দিনের বিরুদ্ধে বেশ কিছু মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্ভট অভিযোগ উত্থাপন করেন। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তাঁর বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছি। নতুবা আমি আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য থাকবো। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন সুশীল সেনগুপ্ত, শফিক আহমদ, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কুলেশ চন্দ্র চন্দ মন্টু, চেয়ারম্যান নজমুল ইসলাম মাষ্টার, চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন লেমন, আব্দুল কাদির দারা, জাকির আহমদ কালা, মাহবুবুল ইসলাম কাজল, আব্দুল কাদির, আব্দুল আহাদ, আব্দুল আজিজ, বাদশা মিয়া, আজাদ চৌধুরী হাসি, সাইফুর আলম ফজল, জুয়েল রানা, হাছান উদ্দিন প্রমুখ।