জরুরী ভ্রমন বলতে কিছু নেই দেশে ভ্রমন করতে হলে অবশ্যই ডিজিটাল পাসপোর্ট লাগবে
ইতালি প্রতিনিধি: প্রায় ২ লাখ বাংলাদেশি ইতালী অভিবাসীর জন্য ডিজিটাল পাসপোর্ট প্রকল্প শুরু হয়েছে গত বছরের নভেম্বরের থেকে। সন্দেহ ছিল এই এক বছরের মধ্যে অভিবাসীদের ডিজিটাল পাসপোর্ট হাতে পাওয়া নিয়ে।বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ শাহ্দৎ হোসেন প্রবাসীদের কথা ভেবে সরকারের সহযোগীতা চেয়ে ছিলেন কিন্তু অনেক সীমাবদ্ধতা ও নানান জটিলতায় তেমন সহযোগীতা না পেলেও তার পূর্বের অভিজ্ঞতা এবং দূতাবাসের কর্মকর্তাদের অমানবিক পরিশ্রম ও আন্তরিক সহযোগীতায় সে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেছেন। তিনি উপলব্ধি করেছেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে একজন অভিবাসীর ডিজিটাল পাসপোর্ট কতটা প্রয়োজনীয়।
যেহেতু ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এ্যাভিয়েশন অর্গানাইজেশান এর নির্দেশ অনুযায়ী চলতি বছর ২০১৫ সালের ২৩ নভেম্বর এর পর থেকে হাতে লেখা পাসপোর্ট ব্যবহার হবে না, অথাৎ শুধুমাত্র ( MRP) বা মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট ধারী যাত্রীরাই আর্ন্তজাতিক রুটে ভ্রমণ করতে পারবেন। সেহেতু একমাত্র রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ শাহ্দৎ হোসেন এর বিশেষ উদ্যোগে ইতালীর প্রত্যেক অভিবাসীকে যথা সময়ে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট বা ডিজিটাল পাসপোর্ট পাওয়া সম্ভব হচ্ছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, আমাদের হিসাব মতে ইতালীতে প্রায় ১লক্ষ ৭৫ হাজার লোক রয়েছে, তার মধ্যে ১ লক্ষ দেশে আসার যাওয়ার মধ্যে থাকায় তারা দেশ থেকে পাসপোর্ট তৈরি করে ফেলেছে । বাকি ৭৫ হাজারের মধ্যে এখানে ডকুমেন্ট সহ বিভিন্ন দরকারে ৪০ হাজারের যে চাপ ছিল সেখান থেকে আমরা বের হয়ে এসেছি আর বাদ বাকি যা আছে তারা পাসপোর্ট চায়নি বলেই এখনো পায়নি। তবে একটি কথা সবার খেয়াল রাখা দরকার দেশে ভ্রমনের ক্ষেত্রে জরুরী বা এমার্জেন্সি পাসপোর্ট বলতে কিছু নেই, বর্তমানে যার ডিজিটাল পাসপোর্ট আছে সেই পারবে ভ্রমন করতে অন্যথায় পারবে না আর এটাই স্বাভাবিক।
উল্লেখ্য প্রবাসীদের পাসপোর্ট বিপাকে যেন পরতে না হয় সেজন্য গত ২৩ আগষ্ট থেকে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এপোয়েন্টমেন্ট সুবিধা সহ সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে দূতাবাসের কর্মকর্তারা। যার ফলশ্রতিতে রোম দূতাবাস প্রতিদিন ৩৫০ থেকে ৪৫০ টি এবং মিলান কনসুলার অফিস প্রতিদিন ১৭৫ থেকে ২০০ টি এমআরপি পাসপোর্ট প্রক্রিয়ার কাজ সম্পন্ন করতে সক্ষম। কিন্তু বর্তমানে সব মিলিয়ে আমাদের প্রতিদিন প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ টি পাসপোর্ট করার স্লট খালি যাচ্ছে।
রাষ্ট্রদূ বলেন, যদি এই খালি কোটা বাকিরা পূরণ করে তবে, এবছর অর্থাৎ ২০১৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ইতালীর সকল বাংলাদেশী অভিবাসীর হাতে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (MRP) বা ডিজিটাল পাসপোর্ট থাকবে।(সংগৃহীত)