কানাইঘাটে ব্যবসায়ী হত্যা : একযুগ পর দুই সহোদরের যাবজ্জীবন
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার লোভা নদীর তিন গাঙ্গের মুখে পাথর ব্যবসায়ী জহির উদ্দিনকে হত্যার দায়ে দুই সহোদরের যাবজ্জীবন কারাদন্ড, বিশ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। রবিবার দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারক মো. সাইফুজ্জামান হিরো এ রায় প্রদান করেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হচ্ছেন কানইঘাট উপজেলার সাউদ গ্রামের বড়হুনার ছেলে জাহাঙ্গীর ও আলমগীর। তারা উভয়ই কারান্তরীণ রয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৩ সালের ১৯ অক্টোবর নদী থেকে পাথর বোঝাই নৌকা নিয়ে আসছিলেন কানাইঘাট উপজেলার জুলাই গ্রামের মৃত নুর উদ্দিনের ছেলে জামিল উদ্দিন ও জহির উদ্দিন। নৌকা নিয়ে লোভা নদীর তিন গাঙ্গের মুখে পৌঁছার পর জাহাঙ্গীর ও আলমগীর পাথর কিনতে দরদাম করেন। কিন্তু দরদামে না মতৈক্য না হওয়ায় জাহাঙ্গীর ও আলমগীর আরো কয়েকজনকে সাথে পাথরভর্তি নৌকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে।
এসময় জামিল ও জহির বাধা দিলে জহিরের মাথায় আঘাত করা হয়। তিনি অজ্ঞান হয়ে পানিতে পড়ে যাওয়ার পর পাথর দিয়ে ঢিল মারা হয় তাকে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন সন্ধ্যায় তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় তার ভাই জামিল উদ্দিন বাদি হয়ে দুইজনের নামোল্লেখ করে কানাইঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি মো. আবদুস সালাম অভিযোগপত্রে জাহাঙ্গীর, আলমগীর, আব্বাছ উদ্দিন, মুস্তাক উদ্দিন, ফায়াজ উদ্দিনকে অভিযুক্ত করে অভিযেগপত্র দাখিল করেন। আদালত তা আমলে নিয়ে ২০০৫ সালের ২৬ জুলাই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে মামলার বিচার কাজ শুরু করেন। দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়া শেষে অবশেষে আজ রবিবার রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায়ে জাহাঙ্গীর ও আলমগীরকে যাবজ্জীবন এবং অপর তিনজনকে খালাস প্রদান করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি এ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির বাবুল ও আসামী পক্ষে ছিলেন এ্যাডভোকেট সৈয়দ মহসিন আলী।