বিয়ানীবাজার কলেজে ছাত্রলীগের দু’পক্ষে সংঘর্ষ, গোলাগুলি : পুলিশের পলায়ন!

Beanibazar Govt Collegeসুরমা টাইমস ডেস্কঃ বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজে ছাত্রলীগের পল্লব ও পাবেল গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা ছাত্রলীগ পল্লব গ্রুপের সশস্ত্র ক্যাডাররা ছাত্রলীগ পাবেল গ্রুপের ক্যাডারদের উপর হামলা চালায়। এ সময় ৫ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। আহত কমপক্ষে ৫ জন। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ঘটনার পর পরই কলেজ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সামনে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা। গুলি শব্দে কলেজ ক্যাম্পাস কম্পিত হলে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। দিকবেদিক ছুটতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। পল্লব গ্রুপের আক্রমন শিকার হয়ে পাবেল গ্রুপ ক্যাম্পাস ছেড়ে পালিয়ে যায়। এ সময় গুলি ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে পাবেল গ্রুপের কয়েক জন নেতাকর্মী আহত হন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। কলেজের এক সাধারণ শিক্ষার্থী বলেন, ‘পুলিশ ক্যাম্পাসে থাকলে আমরা সাহস পাই। আজ গুলির শব্দ শোনে পুলিশ ক্যাম্পাস ছেড়ে পালিয়ে যায়।’ দুপুর পৌণে ১২টার দিকে বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের সামনে কিলেজ মসজিদ সংলগ্ন মাহবুব ম্যানশনের সামনে থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আমিন কয়েকজন পুলিশ নিয়ে দাড়িয়ে ছিলেন। এ সময় তিনি মোবাইল ফোনে কলেজ ক্যাম্পাসে সংঘর্ষের বিষয়টি জানান।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার উপজেলা ছাত্রলীগের এ দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায়। তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে গত বৃহস্পতিবার পাবেল গ্রুপের সশস্ত্র ক্যাডাররা পল্লব গ্রুপের অবস্থানে গিয়ে হামলা চালায়। প্রতিপক্ষের হামলার পল্লব গ্রুপের নেতাকর্মীরা নিজ অবস্থান থেকে পালিয়ে যায়। এ সময় কয়েকজন আহত হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে বৃহস্পতিবারের এ ঘটনায় বদলা নিতে কলেজ ক্যাম্পাসে সশস্ত্র অবস্থায় পাবেল গ্রুপের অবস্থানে গিয়ে গুলি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে ছাত্রলীগ পল্লব গ্রুপের ক্যাডাররা।

বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, গুলিতে আহত ১০জনের মধ্যে সাইফুল ইসলাম (১৮) ও বায়োজিদ আহমদ(১৯) এবং জুয়েল মাহমুদ (২৬) কে সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সাইফুলের চোখে গুলি লেগেছে। সাইফুল ও বায়োজিদ মূলধারা গ্রুপের কর্মী বলে জানিয়েছেন ছাত্রলীগ নেতা আবু তাহের সাজু।