সিলেটে প্রজন্মলীগ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষ, পুলিশের গুলি : আহত ১০
ছাত্রলীগ নেতা আমিনের অবস্থার অবনতি, ঢাকায় প্রেরণ
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ সিলেট জেলা যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান অতর্কিত হামলায় পন্ড হয়ে গেছে। এ সময় যুবলীগের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান সহ দলীয় নেতৃবৃন্দ দৌড়ে আত্মরক্ষা করেন। এ ঘটনায় ১০/১২ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি(মিডিয়া) রহমত উল্যাহ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহতদের মধ্যে রয়েছে-আওয়ামী প্রজন্ম লীগ নেতা খালেদ ওসমানী, যুবলীগ নেতা জাওয়াদ, সাইফুল ইসলাম ও শিপু রয়েছেন।
দলীয় সূত্র জানায়, ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে সিলেট সার্কিট হাউস সংলগ্ন ক্বীনব্রীজের নিচে আলোচনা সভার আয়োজন করে জেলা যুবলীগ। জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শামীম আহমদের সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আহমদ আল কবির ও এডভোকেট বেলাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেটের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ফজলুল হক আতিক, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান অতিথি হিসাবে যোগ দেন। অনুষ্ঠান শুরুর পর আওয়ামী প্রজন্ম লীগ নেতা খালেদ ওসমানীর সাথে কয়েকজন যুবলীগ নেতার বাকবিতন্ডা হয়।
এক পর্যায়ে খালেদ ওসমানী অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করে চলে যান। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে যখন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বক্তব্য রাখছিলেন-তখন খালেদ ওসমানী দল বল নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। এ অবস্থায় দুই পক্ষ পরস্পরের প্রতি চেয়ার ছোঁড়াছোঁড়ি শুরু করে। অবস্থা বেগতিক দেখে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ যার যার মতো করে আত্মরক্ষা করেন।
এডিসি রহমত উল্যাহ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় আহত কয়েকজন নেতা-কর্মীকে ওসমানী হাসপতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
এদিকে সংঘর্ষে আহত ছাত্রলীগ নেতা আমিনের অবস্থার অবনতি হয়েছে। তাকে জরুরী ভিত্তিতে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। সংঘর্ষে তিনি মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হন এবং অজ্ঞান অবস্থায় রয়েছেন।