শিক্ষক-কর্মচারীদের অনশন প্রত্যাহার, অবস্থান কর্মসূচি চলবে
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে নি¤œ মাধ্যমিক-মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, কারিগরি ও মাদরাসার স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সকল নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবিতে ‘নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশন’ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ৬ষ্ঠ দিন অনশন কর্মসূচী অব্যাহত রাখেন। এতো দীর্ঘদিন অনশনের কারণে বিপুল সংখ্যক শিক্ষক-কর্মচারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। গতকাল সকালে রাজবাড়ীর শিক্ষক জামাল উদ্দিন (প্রভাষক) কে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। এর আগে গত ০৩ নভেম্বর অনশনের কারণে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়া শিক্ষকদের মধ্যে ঝিনাইদহের শহিদুল ইসলাম, যশোরের সাইফুল আলম, টাঙ্গাইলের নাছিমা আক্তারকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছিল। সেদিনই শিক্ষক নেতা শফিকুল ইসলামসহ আরো বহু সংখ্যক শিক্ষক-কর্মচারী অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাদের রাতে বিভিন্ন ঔষধের দোকান থেকে ঔষধ এনে জরুরী চিকিৎসা দেওয়া হয়। একদিকে দিন দিন বিপুল সংখ্যক শিক্ষক-কর্মচারীদের অসুস্থ হয়ে পড়া আর অন্যদিকে সরকারের নীতিনির্ধারণী মহল থেকে কোন প্রকার সাড়া না পাওয়ায় হতাশ নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দ শিক্ষক-কর্মচারীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বিশিষ্ট কলামিষ্ট আবুল মকসুদ, সিপিবি’র কেন্দ্রীয় নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা রাজেকুজ্জামান রতন ও দৈনিক শিক্ষা বার্তার সম্পাদক এন.কে রাশেদা আপাতত অনশন কর্মসূচী স্থগিত করার জন্য অনুরোধ করেন। বক্তারা সচিবালয়ের অনতি দূরে অনশনরত শিক্ষকদের শিক্ষামন্ত্রী বা সরকারের কোন প্রতিনিধি খোঁজখবর না নেয়ার তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং শিক্ষকদের ন্যায্য দাবী আদায়ে সবসময় পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। সম্মানিত বিশিষ্টজনদের অনুরোধের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এবং অসুস্থ শিক্ষক-কর্মচারীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি চিন্তা করে নন্-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি আপাতত অনশন কর্মসূচি স্থগিত করেন। এবং এমপিওভুক্তির দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচী চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। সেই লক্ষ্যে তিনি সারাদেশের নন্-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের ঢাকায় এসে আন্দোলনে সরাসরি যোগদান এবং দেশের প্রতিটি সচেতন নাগরিককে কর্মসূচিতে সমর্থন জানানোর উদাত্ত আহ্বান জানান।