টিলাগড় থেকে অপহৃত কিশোরী ৪দিন পর নবীগঞ্জে উদ্ধার
সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ নগরীর টিলাগড়ে অপহৃত এক কিশোরীকে নবীগঞ্জের পল্লী থেকে ৪ দিন পর উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় অপহরক রুহেল আহমদকে(২৩) গ্রেফতার করা হয়।সোমবার রাত ৮ টার দিকে ঘোপলাবাজার হইবতপুর গ্রামের রুহেলে বন্ধু জুবেদের বাড়ি থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। সেই সাথে অপহরণকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।গ্রেফতারকৃত রুহেল টিলাগড় রাজপাড়া সুরভী-১২ নং বাসার মৃত আব্দুল লতিফের পুত্র। সে নগরীর আলীয়া মাদ্রাসার ক্যাশিয়ার।মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, রুহেল কিশোরীকে প্রায় উত্যক্ত করত। সে বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়। পরে তার বাবা এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় রুহেল তার মেয়ে অপহরণের হুমকী দেয়।
গত ৩০ অক্টোবর বিকেল ৪ টার দিকে মামার বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। কমিশনারের বাসার সামনে পৌছামাত্র রুহেল তার সহযোগীদের নিয়ে কিশোরীকে জোরপূর্বক একটি সিএনজি অটোরিক্সায় তুলে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালায়।এসময় তার নানী চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসার আগেই সিএনজি অটোরিক্সাটি নিয়ে অপহরকরা দ্রুত পালিয়ে যায়।এ ঘটনায় তার বাবা বাদি হয়ে রুহেল আহমদকে আসামী করে শাহপরাণ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। নং- ২ (০২-১১-১৫)।
এরই প্রেক্ষিতে সোমবার রাতে পুলিশ নবীগঞ্জের রুহেলের বন্ধুর বাড়ি থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে এবং অপহরক রুহেল আহমদকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।মামলার তদন্তকারীর কর্মকর্তা শাহপরাণ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাদিউল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশ গ্রেফতারকৃত রুহেল ও কিশোরীকে সিলেটে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (আমলী-৩) মোঃ মামুনুর রহমান সিদ্দিকীর আদালতে হাজির করা হয়।এসময় আদালত ধৃত রুহেলকে জেল হাজতে প্রেরণ ও কিশোরীকে তার পিতার জিন্মায় দেয়ার নির্দেশ দেন। এর আগে ওই আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মামুনুর রহমান সিদ্দিকী উদ্ধার হওয়া কিশোরীর ২২ ধারায় তার জবানবন্দী রেকর্ড করেন।এদিকে,২২ ধারার জবানবন্দীতে কিশোরী জানায়, ‘আমি স্ব-ইচ্ছায় রুহেল আহমদের সাথে গত শুক্রবার আছর এর আযানের পর নবীগঞ্জ তার বন্ধু জুবের এর বাড়িতে গিয়েছিলাম। আমি বাড়ি হতে বলে যাই নাই। বিয়ে করি নাই। আমি তাকে ভালবাসি। প্রায় দেড় বছর ধরে রুহেলের সাথে আমার সম্পর্ক। সোমবার রাতে পুলিশ তার ওই বন্ধুর বাড়ি থেকে আমাদের ধরে থানায় নিয়ে আসে।’